করোনা সংক্রমণের মধ্যে দেশের ১৬৬টি চা বাগানে কাজ করছে দেড় লাখ শ্রমিক
- আপডেট সময় : ০২:২৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
করোনা সংক্রমণের মধ্যে দেশের ১৬৬টি চা বাগানে কাজ করছে দেড় লাখ শ্রমিক। বাগান কর্তৃপক্ষ বলছেন, চা পাতা পচনশীল পন্য, তাই বাগানের কার্যক্রম বন্ধ করা হলে লোকসানের মুখে পড়বে চা শিল্প। আর প্রশাসন বলছে, সরকারি বিধান না মানলে প্রয়োজনে প্যানাল কোর্টের ধারা অনুযায়ী জেলা-জরিমানা করা হবে।
প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনার কার্যকারিতা নেই দেশের চা বাগানগুলোতে। ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ১৬৬টি চা বাগানে কাজ করছে দেড় লাখ শ্রমিক। কর্মরত শ্রমিকের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্য মিলিয়ে অন্তত ১০ লাখ মানুষ এখন করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে। সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত বজায় রেখেই চা বাগানে কাজ করছে শ্রমিকরা। সপ্তাহিক ছুটি ছাড়া প্রতিদিন শত শত শ্রমিক দল বেধে কাজ করছে প্রতিটি চা বাগানে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চা পাতা না তুললে শক্ত হয়ে যাবে। এতে গাছেরও ক্ষতি হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চা বাগানে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানালেন বাগান ব্যবস্থাপকরা। বাংলাদেশ চা সংসদের সিলেট শাখার চেয়ারম্যান বলেন, চা বাগানে শ্রমিকরা কাজ করার সময় একত্রিত হওয়ার সুযোগ নেই। আর শ্রমিকদের বাইরে যাওয়া ও বাগানে বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘুরাফেরা করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার। চা বাগানে শ্রমিকদের কাজ ও চোলাই মদ তৈরির কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে, জেলা প্রশাসক জানান, যারা সরকারি নির্দেশনা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে প্যানাল কোর্টে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। করোনার বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিধি মেনে জাতি এই মহামারিকে জয় করবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।