কুড়িগ্রামের নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলগুলোতে সূর্যমুখী চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে
- আপডেট সময় : ০৩:১৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০
- / ১৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রামের নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলগুলোতে সূর্যমুখী চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কৃষি বিভাগ চরাঞ্চলের পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কৃষকরা মনে করছেন, দেশে ভোজ্য তেলের বাজারে সঠিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা গেলে এ জেলার অনাবাদী চরাঞ্চলের জমিতে সূর্যমুখী চাষে বিপ্লব ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা পাড়ের ধু-ধু বালুচরে এখন শোভা পাচ্ছে কেবলই সূর্যমুখী ফুল। চলতি মৌসুমে এসব চরে ২২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় চাষ করা এই বালুময় জমিতে সূর্যমুখীর উৎপাদন হবে প্রায় ৬৬ টন। প্রতিকুল আবহাওয়ায় না পড়লে এবার সূর্যমুখীর আশাতীত ফলন আশা করছেন কৃষকরা।
অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় চরের জমিতে সূর্যমুখী চাষে উৎসাহী হয়েছেন কৃষকরা। ফলন ভালো হলে আগামীতে অন্যান্য ফসল চাষীরাও আরো বেশি পরিমাণে সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকে পড়বে। চরাঞ্চলের পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছে কৃষি বিভাগ। বাজারে ভেজালের ভীড়ে স্বাস্থ্য-বান্ধব সূর্যমুখী তেলের ব্যবহার বাড়াতে ভোজ্য তেল আমদানী কমানোর পরামর্শ কৃষি কর্মকর্তাদের।
কৃষি বিভাগের সহায়তায় চরাঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ বাড়িয়ে কৃষকদের স্বাবলম্বী করার অঙ্গীকার স্থানীয় সংসদ সদস্যের। আগামীতে সূর্যমূখীর বীজ আরো সহজে পাওয়া গেলে এবং এই তেলের বাজার বাড়লে চরাঞ্চলে আরও ব্যাপক হারে সূর্যমূখী চাষ বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। এতে দেশের অর্থনীতিতে যোগ হবে নতুন মাত্রা।