অধ্যাদেশ জারির পর আজ থেকে শুরু ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতের কার্যক্রম
- আপডেট সময় : ১১:২৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০২০
- / ১৫৭৩ বার পড়া হয়েছে
অধ্যাদেশ জারির পর আজ থেকে শুরু হচ্ছে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতের কার্যক্রম। এরই মধ্যে আপিল বিভাগে চেম্বার আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগে তিনটি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এদিকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিচারিক কার্যক্রম আবার শুরু করতেই আইন সংশোধন করে ভার্চুয়াল আদালত চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশন ও ভার্চুয়াল আদালত চালুকে সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলেও দাবি করেন তিনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে নিয়মিত আদালত বন্ধ থাকায়, ভার্চুয়াল আদালত চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অধ্যাদেশ জারির পরদিন সুপ্রিমকোর্টে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুনানির জন্য আপিল বিভাগে চেম্বার আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগে তিনটি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ভিডিও কনফারেন্সে সব বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি।
এ বিষয়ে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য চেম্বার জজ হিসেবে বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানকে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আর হাইকোর্টে বসবে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এসব আদালতে জামিন আবেদনসহ যেকোনো জরুরি বিষয় শুনানি করা যাবে। তবে সারাদেশে নিম্ন আদালতগুলোতে শুধুমাত্র জামিনের আবেদন শুনানি করা যাবে।
এদিকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে অধ্যাদেশের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী। জানান করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিচারিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতেই আইনের সংশোধন করে ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশনে সরকারের এই উদ্যোগ এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলেও দাবি করেন তিনি।
সাংবিধানিকভাবে ভার্চুয়াল কোর্টের উপস্থিতি কে আদালতে হাজির হিসেবে গণ্য হবে উল্লেখ করে শুনানি, হাজিরা, রায়সহ বিচারের সব ধাপ ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যাবে বলেও জানান আনিসুল হক।