বিভিন্ন জেলায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই খুলেছে মার্কেট ও শপিংমল
- আপডেট সময় : ০৭:৫২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০২০
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
নাটোর, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, দিনাজপুর ও পিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই খুলেছে মার্কেট ও শপিংমলগুলো।তবে সামাজিক দুরত্ব মানাছেন না কেউ। ক্রেতারা বলছে, প্রয়োজনেই মার্কেটে আসা। আর, বিক্রেতারা বলছে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন্ পদক্ষেপ।
নাটোর শহরের প্রধান প্রধান মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে’ পড়া ভীড়। বিক্রেতারা মানতে পারছেন না করোনার স্বাস্থ্যবিধি। দোকানগুলোতে পাশাপাশি বসে বা দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। দু’-একটি ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানেই নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। এদিকে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সকলকে অনুরোধ করেছে জেলা পুলিশ।
টানা দেড় মাস পর বগুড়ায় খুলেছে মার্কেট, শপিং মল। শহরের নিউমার্কেট, রফিক খান মার্কেট, আলতাব আলী সুপার মার্কেট, হকার্স মার্কেটসহ সবগুলো মার্কেটে ছিল ক্রেতাদের ভিড়। কাপড় আর কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে ভিড় সবচেয়ে বেশি। সামাজিক দূরত্ব মানে হচ্ছে না কোথাও। বেশিরভাগ ক্রেতারই মুখে মাস্ক কিংবা ব্যক্তিগত সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই।
কুড়িগ্রামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলায় শহরে লোক সমাগম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ঈদকে সামনে রেখে জনসমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে কাপড়ের বাজারগুলো। এ চিত্র এখন জেলা ও উপজেলার সবগুলো বাজারের। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনার কথা জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা।
গাইবান্ধায় দোকানপাট খোলার পর বিভিন্ন মার্কেট ও রাস্তায় দেখা গেছে ব্যাপক ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশনা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা মানতে দেখা যায়নি। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
দিনাজপুরেও খুলেছে শপিং মলগুলো। জেলার বাহাদুর বাজার, মডার্ণ মোড়, গুলশান মার্কেট, লুৎফুন নেছা টাওয়ারসহ মালদহপট্টির বিপণি বিতানগুলো।দীর্ঘদিন পর এসব দোকান খোলায় শহরে বেড়েছে গ্রামাঞ্চলের মানুষের আনাগোনা। বেড়েছে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা।
পিরোজপুরে সময়সীমা ঠিক করে দিয়ে স্থানীয় মার্কেট ও দোকানপাট খোলার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।