দুর্যোগ এলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হলেও তাতে বসবাসের সুযোগ-সুবিধা নেই
- আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মে ২০২০
- / ১৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
দুর্যোগ এলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হলেও তাতে একদিন বসবাসেরও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা নেই। আর তাই ঘুর্ণিঝড় জলোচ্ছাসের মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও এসব আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চান না উপকুলে বসবাস করা সাধারণ মানুষ। নাগরিক প্রতিনিধিরা বলছেন, শুধু প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে সাধারণ মানুষের জান-মাল ঝুঁকির মধ্যে থাকে প্রতিনিয়ত।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গার একটি আশ্রয়কেন্দ্রের দৃশ্য এটি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকেলে এই বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করলেও বুধবার দুপুর পর্যন্ত তালাবদ্ধ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে ভবনটি। উপকুলের কোন মানুষ আশ্রয় নেয়নি এখানে।
একই চিত্র স্থানীয় একটি এনজিওর গড়ে তোলা এই আশ্রয়কেন্দ্রটিরও। তিনশো মানুষ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই ভবনটির পরিবেশ অন্যগুলোর চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো হলেও তাতে আশ্রয় নেননি কেউ। উপকুলের বাসিন্দারা জানান, এখানে বসবাসের পরিবেশ না থাকায় আবহাওয়া খুববেশী ঝুঁকিপুর্ণ না হলে আসেননা তারা।
একই সাথে উপকুলের বাসিন্দাদের বাড়িঘরের নিরাপত্ত্বার নিশ্চয়তা না পাওয়াও আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে জানান বাসিন্দারা।
ঘুর্ণিঝড় ছাড়াও অতি বৃষ্টিতে পাহাড় ধ্বসের আশংকায় প্রতিবছর পাঁচ থেকে সাত বার করে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু সামান্য উদ্যোগ আর আন্তরিকতার অভাবে এসব আশ্রয়কেন্দ্রের সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না বলে মনে করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সংকটের কথা স্বীকার করে জেলা প্রশাসন বলছে, উপকুলের বাসিন্দাদের জন্য ভবিষ্যতে দুর্যোগসহনীয় ঘর নির্মানের প্রকল্পের দিকে এগোচ্ছেন তারা।
চট্টগ্রামের উপকুলীয় এলাকাগুলোতে ৪৭৯ টি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এর বাইরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দুর্যোগকালে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে জেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।