হাজার কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছে ভৈরবের বিকাশমান পাদুকাশিল্প
- আপডেট সময় : ০২:৫০:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মে ২০২০
- / ১৫৪৩ বার পড়া হয়েছে
করোনার কারনে কারখানা বন্ধ থাকায় হাজার কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছে ভৈরবের বিকাশমান পাদুকাশিল্প। ঈদকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এই শিল্পের অর্থনীতির চাকা ঘুরলেও, এবার ধ্বংসের আশংকা দেখা দিয়েছে। কারখানাগুলি সীমিত আকারে খুলে দেয়া ও উৎপাদিত জুতা দেশব্যাপী বিক্রির সুযোগ দাবি করেছে সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ আর্থিক প্রনোদনার দাবিও জানান তারা।
গত রমজানের এ সময়ে জুতার কারিগর ও মেশিনের শব্দে মুখরিত ছিল ভৈরবের পাদুকাপল্লী। আর, চারটি জুতার মার্কেটে রাত-দিন ক্রেতা-বিক্রেতায় ছিল একাকার। সারাবছর উৎপাদন এবং বিক্রি অল্প-স্বল্প হলেও, মুল ব্যবসাটা হয় এই সময়।
করোনাভাইরাসের কারণে সেখানে এখন সুনশান নিরবতা। কাঁচামাল আর যন্ত্রপাতিতে জমেছে ময়লা। কাজ হারিয়ে শ্রমিকরা দিন যাপন করছেন অর্ধাহারে।আর, মালিকরা গুণছেন লোকসান।
উৎপাদন ও বিপনণ না থাকায় লোকসানের মুখে পড়ে বন্ধ হয়ে যাবে কারখানাগুলি।বেকার হয়ে পড়েছে এই শিল্পের সাথে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক। তাই, আর্থিক প্রনোদনাসহ কারখানা ও বিপনন সীমিত আকারে খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
লাখ লাখ টাকার উৎপাদিত জুতা পরে আছে গুদামে।দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ করে গত মৌসুমের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ বকেয়া পাওয়ার কথা এই সময়। কিন্তু, এই ঈদে সরবরাহ বন্ধ থাকলে, বকেয়া পাওয়ার সম্ভাবনা কম। এতে করে বড় রকমের লোকসানের মুখে পড়বে কারখানার মালিকরা। এ শিল্পকে টেকাতে হলে সরকারের আর্থিক সহযোগিতা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে দাবি করেন পাদুকা শিল্পের এ নেতা।
সট- মো: আল আমিন মিয়া, সভাপতি, ভৈরব পাদুকা কারখানা মালিক সমবায় সমিতি।
গত দু’মাস বন্ধ থাকায় বর্তমানে শিল্পটি ঝুঁকিতে পরেছে। সরকার ঘোষিত প্রনোদনায় এ শিল্পের নাম রয়েছে। কারখানার মালিকরা ব্যাংক থেকে ঋণ পাবেন বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সট- লুবনা ফারজানা, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, ভৈরব।
প্রনোদনা প্যাকেজটি বাস্তবায়িত হলে এই শিল্পটি আবার ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করেন, এই কর্মকর্তা।