রাজধানীর বাজারগুলোতে চাল-সবজি ও ডিমের দাম আবারো উর্ধ্বমুখী
- আপডেট সময় : ০৩:৩২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
- / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর বাজারগুলোতে চাল-সবজি ও ডিমের দাম আবারো উর্ধ্বমুখী। লকডাউন খুলে দেয়ায় বাজারে সব সবজির বাড়তি চাহিদা ও বৃষ্টিতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে, কিছুটা কমেছে মুরগি, পেঁয়াজ ও মসলার দাম। মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও করোনার প্রভাবে বাজারে ক্রেতা কম থাকায় লোকসানের আশঙ্কা বিক্রেতাদের।
রাজধানীর বাজারগুলোতে একে তো করোনার প্রভাব, তার ওপর বৃষ্টির কারণে ক্রেতা বেশ কম। এতে বেচাকেনা কম থাকায় পাইকারি বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও খুচরা বাজারে এর কোন প্রভাব নেই । সপ্তাহের ব্যবধানে সবজিতে কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, উস্তা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা- ধুন্দল-ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ক্রেতা কম থাকায় কিছুটা বেড়েছে মাছের দামও। কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে শিং আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই আকারভেদে ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ১৩০ থেকে ২০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আর এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা দামে।
রোজায় ডিমের দাম কম থাকলেও চড়া ছিল মুরগির বাজার। কয়েক দফা বাড়ে মুরগির দাম। তবে রমজান ও ঈদের পর পরই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে; দাম কমছে মুরগির আর কিছুটা বাড়ছে ডিমের। অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন ও সেগুলো সরবরাহ শুরুর পর বাজারে চালের দাম না কমে উল্টো কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত।