সরকার উৎসাহ দিলেও মানছে না চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন
- আপডেট সময় : ০২:৩১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুন ২০২০
- / ১৫৯৬ বার পড়া হয়েছে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম ঢাকায় পাঠাতে সরকার নানাভাবে উৎসাহ দিলেও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে খোদ প্রশাসনেরই একটি মহল। জরুরি পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় এসএ পরিবহন পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসে আম পরিবহন বন্ধ করে দেয়ার হুমকি অব্যাহত রেখেছে তারা। বিভাগীয় কমিশনারের কড়া হুঁশিয়ারির পরও বন্ধ হয় নি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে হয়রানি। এমন পরিস্থিতিতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আম ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের নেতারা।
এসএ পরিবহন পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিস নিছক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই নয়। রোহিঙ্গা সংকট বা করোনার মতো সকল জাতীয় মহাদুর্যোগেও খাদ্যসহায়তা দিয়ে সরকারের হাতকে আরো শক্তিশালী করেছে। বর্তমানে করোনাকালেও নিরবচ্ছিন্নভাবে জরুরি পণ্য পরিবহনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। রাষ্ট্রপতির দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং সরকারি বিভিন্ন ডাক ও ডকুমেন্টস সরবরাহ করে থাকে এসএ পরিবহন।
এ সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চাষী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে নির্বিঘ্নে আম পাঠাচ্ছেন এসএ পরিবহনের মাধ্যমে। গ্রাহকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আস্থার সাথে তারা নানা পণ্যসহ জরুরি পার্সেল আনা নেয়া করেন। ৩৭বছর ধরে সবশ্রেণীর মানুষের কাছে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে এসএ পরিবহন।
করোনা মহামারিতে যখন সবারই অবস্থা বিপদাপন্ন, তখন কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একেএম তাজকির উজ জামান শুরু করেছেন হয়রানি।
করোনাকালে আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তারা যাতে স্বাচ্ছন্দে আম পাঠাতে পারে সেজন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসককে পার্সেল-কুরিয়ার সার্ভিসগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে নির্দেশ দিয়া হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও আম বহনকারী পরিবহনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকারের এমন সদ্বিচ্ছাকে উপেক্ষা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক সব আইনকানুন পাশ কাটিয়ে এসএ পরিবহনের কার্যক্রম বন্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। শুধু তাই নয়, রহস্যজনক কারণে কয়েকটি ভুঁইফোড় কুরিয়ারের পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন তিনি।
জেলা প্রশাসনের এধরনের হটকারী সিদ্ধান্ত ও অনৈতিক কূটচালে হতবাক শীর্ষ আম ব্যবসায়ীরাও। তারা বলছেন, তাদের আস্থার জায়গা এসএ পরিবহনে আম পাঠানোর সুযোগ দেয়া না হলে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে আম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত লাখো মানুষ।
এদিকে এসএ পরিবহনকে এ ধরনের হয়রানি বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসককে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার ।
দেশের সবচেয়ে বেশি ৩৩হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। এবার এ জেলায় ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন।