দিনাজপুরের ২২ লাখ মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এনজিও থেকে নেয়া ঋণ
- আপডেট সময় : ০৬:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুন ২০২০
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
দিনাজপুরের ২২ লাখ মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ। সরকারি প্রজ্ঞাপণ অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতিতে কিস্তি নেয়া বন্ধ থাকলেও, গোপনে টাকা আদায়ে চলছে তৎপরতা। সামাজিক উন্নয়ণ এবং ক্ষুদ্রঋণ কাযর্ক্রমে ৭০টি এনজিও কাজ করছে এই জেলায়।
আশা, ব্র্যাক, ব্যুরো বাংলাদেশসহ অন্তত ৫৩টি সংস্থা থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে দিনাজপুরের মধ্যবিত্ত এবং নিম্নআয়ের মানুষ। জেলার ১৩টি উপজেলায় ২২ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী পাঁচ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিয়েছে।
সাধারণ ছুটির আগে যারা ঋণ নিয়েছে, সে টাকা দিয়ে তারা সংসার চালিয়েছে। আগামীতে কিস্তি দেয়ার ভয়ে, এখনই ঠিকানা পাল্টাচ্ছে অনেকে।
পৌর এলাকার ছত্রাপাড়ায় ছোট ভাইয়ের বাড়িতে থাকেন বিধবা ও নিঃসন্তান মালেকা বেগম। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দোকান খুলেছে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে চরম হতাশ তিনি।
শুধু মালেকা নয়, বিভিন্ন সংস্থার সদস্য ঋণগ্রহীতাদের অভিজ্ঞতা একই-রকম।
বেসরকারি সংস্থা ‘আশা’র এই কর্মকর্তা জানান, ঋণ নেয়া ক্ষতিগ্রস্থ সদস্যদের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।তবে কিছু ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থাগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেয়ার তাগিদ দেন, জেলা প্রশাসক।
এদিকে, জেলার করোনা পরিস্থিতিসহ ত্রাণ কাজ দেখাশুনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব জানান, সব সংস্থাসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।