০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রায় দেড়শো কর্মকর্তা কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০
  • / ১৫৭৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রায় দেড়শো কর্মকর্তা কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে আক্রান্ত আর উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যুও হয়েছে। তাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনবল কমিয়ে শিফটিং করে সেবা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধির কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে আক্রান্ত ঠেকানো না গেলে রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

করোনা সংক্রমণের শুরুতে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি বা অঘোষিত লকডাউন শুরু হলেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখার স্বার্থে চালু রাখা হয় চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউজ। দু’মাসের মধ্যেই তার খেসারত দিতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানদুটিকে। বন্দরের ৭৭ জন আর কাস্টমসের ৭২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর করোনা শনাক্ত হয়। উপসর্গ রয়েছে আরো কয়েকজনের। এই বাস্তবতায় যে ক’জন এখনো সুস্থ আছেন তাদেরকেও চার শিফটে ভাগ করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আর চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে কার্যক্রম সচল রাখতে নতুন জনবল সংযুক্ত করার অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রাজস্ব আদায়ে ভাটা পরার আশংকাও করছে তারা। ফুটেজ-কাস্টমস এই অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এই দুটি দফতরে কাজ করতে আসা আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। তাদের দাবি, বন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিজেদের নিরাপত্তার অজুহাতে কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া এসব দফতরে আগতদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পর্যাপ্ত পদক্ষেপও নেই এখানে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান দু’টি সচল রাখার দাবি বন্দর ব্যবহারকারীদের। না হলে রাজস্ব আদায়সহ বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা তাদের। আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট হওয়ায় প্রতিদিন দেশি-বিদেশি বিপুল পরিমান মানুষের আনাগোনা হয় এই দুই প্রতিষ্ঠানে। তাই করোনার বিস্তার ঠেকাতে শুরু থেকে যে পরিমান প্রস্তুতি নেয়ার দরকার ছিলো সেখানে গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রায় দেড়শো কর্মকর্তা কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত

আপডেট সময় : ০২:১৯:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রায় দেড়শো কর্মকর্তা কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে আক্রান্ত আর উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যুও হয়েছে। তাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনবল কমিয়ে শিফটিং করে সেবা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধির কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে আক্রান্ত ঠেকানো না গেলে রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

করোনা সংক্রমণের শুরুতে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি বা অঘোষিত লকডাউন শুরু হলেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখার স্বার্থে চালু রাখা হয় চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউজ। দু’মাসের মধ্যেই তার খেসারত দিতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানদুটিকে। বন্দরের ৭৭ জন আর কাস্টমসের ৭২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর করোনা শনাক্ত হয়। উপসর্গ রয়েছে আরো কয়েকজনের। এই বাস্তবতায় যে ক’জন এখনো সুস্থ আছেন তাদেরকেও চার শিফটে ভাগ করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আর চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে কার্যক্রম সচল রাখতে নতুন জনবল সংযুক্ত করার অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রাজস্ব আদায়ে ভাটা পরার আশংকাও করছে তারা। ফুটেজ-কাস্টমস এই অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এই দুটি দফতরে কাজ করতে আসা আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। তাদের দাবি, বন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিজেদের নিরাপত্তার অজুহাতে কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া এসব দফতরে আগতদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পর্যাপ্ত পদক্ষেপও নেই এখানে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান দু’টি সচল রাখার দাবি বন্দর ব্যবহারকারীদের। না হলে রাজস্ব আদায়সহ বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা তাদের। আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট হওয়ায় প্রতিদিন দেশি-বিদেশি বিপুল পরিমান মানুষের আনাগোনা হয় এই দুই প্রতিষ্ঠানে। তাই করোনার বিস্তার ঠেকাতে শুরু থেকে যে পরিমান প্রস্তুতি নেয়ার দরকার ছিলো সেখানে গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।