ভারত থেকে নামা উজানের ঢলে তলিয়ে গেছে কৃষকের ফসলি ক্ষেত
- আপডেট সময় : ১০:০১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুন ২০২০
- / ১৫৭৮ বার পড়া হয়েছে
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নামা উজানের ঢলে কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধার যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তলিয়ে গেছে কৃষকের ফসলি ক্ষেত।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি আরো বেড়েছে। ফলে নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ায় তলিয়ে গেছে কৃষকের সবজি ক্ষেতসহ নানা ফসল। বৃষ্টিপাত ও পানি বৃদ্ধি এভাবে অব্যাহত থাকলে শিগগিরই চরাঞ্চলের বাড়িঘরও প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছেন এসব এলাকার মানুষ। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনও তা বিপদসীমার নীচেই আছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও টানা বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি আরো ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে এখন বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চলসহ জেলার নদী তীরবর্তী ও বাধ সংলগ্ন এলাকার রাস্তাঘাট ও বাড়ীঘরে পানি উঠতে শুরু করেছে। সকালে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি ১২ দশমিক ৭১ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বিপদসীমা ১৩ দশমিক ৩৫ মিটার অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে, কয়েক দিনের বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ী ঢলে গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘটসহ সবগুলো নদীর পানি দ্রুত বেড়ে এখন বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কয়েক দিনে হঠাৎ প্রচুর পানি বাড়ায় গাইবান্ধার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলের পাকা ভুট্টা, চিনা-কাউনসহ নানা শাকসবজির ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা।