বিমানের সাথে সংঘর্ষের আশঙ্কায় রাজশাহীতে ঘুড়ি ওড়ানো বন্ধের নির্দেশ
- আপডেট সময় : ০৭:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০
- / ১৫২৩ বার পড়া হয়েছে
বিমানের সাথে সংঘর্ষের আশঙ্কায় রাজশাহীর আকাশে ঘুড়ি ওড়ানো বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘুড়ি ওড়াতে নিষাধাজ্ঞা দিয়ে সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে কয়েকদিন ধরেই মাইকিং করা হচ্ছে বিমান বন্দরের আশেপাশের এলাকায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘুড়ি ওড়ানো নিষিদ্ধ হলেও তা মানছেন না কেউই। এ অবস্থায় ঘুড়ি ওড়ানো বন্ধে পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার কথাও ভাবছে তারা।
করোনা সতর্কতায় অনেকেই ঘরবন্দি এখনো। তবে সময় কাটাতে এদের একটি বড় অংশই ব্যস্ত থাকেন শখের ঘুড়ি ওড়াতে। আকাশে ওড়ে নানা নামের ঘুড়ি। কেবল দিনেই নয়, রাতেও বাহারি রঙের ঘুড়িতে ভরে যায় পুরো আকাশটাই। কখনো কখনো দৃষ্টির সীমানা ছাড়িয়ে আকাশে মিলিয়ে যায় সেই ঘুড়ি।
কিন্তু এই শখের ঘুড়িই যে মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে-তা হয়তো জানেন না অনেকেই। বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আকাশে ওড়া বিমান ও ঘুড়ির সুতার সংঘর্ষে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে।
করোনার কারণে রাজশাহী-ঢাকা রুটে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল। তবে বিভিন্ন ফ্লাইং একাডেমি প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করছে শাহ মখদুম বিমান বন্দর। তাদের প্রশিক্ষণ বিমানগুলোই রাজশাহীর আকাশে উড়ছে প্রতিদিন। তবে ঘুড়িই এখন তাদের ভয়াবহ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও বলছেন, নিষিদ্ধ হলেও রাজশাহী শহরের আকাশজুড়ে উড়ছে হাজারো ঘুড়ি। কিন্ত চলন্ত বিমানের সঙ্গে এসব ঘুড়ির প্রায় সাতশ’ মাইল বেগে সংঘর্ষ হতে পারে। কিন্ত এ নিয়ে কোনো খেয়াল নেই বেশির ভাগ মানুষেরই।
১৯৮৪ সালের সিভিল অ্যাভিয়েশন বিধিমালা অনুযায়ী বিমান বন্দরের চারপাশজুড়ে চার কিলোমিটারের মধ্যে ঘুড়ি ওড়ানো যাবে না। তবে এর বাইরে ৩০০ফিটের বেশি উচ্চতায় ঘুড়ি উড়াতে হলে অনুমতি নিতে হবে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের।