চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানীতে গতি বাড়লেও ভাটা পড়েছে আমদানীতে
- আপডেট সময় : ০২:১৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
- / ১৫৫৪ বার পড়া হয়েছে
করোনার ভয়াবহতার মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানীতে গতি বাড়লেও ভাটা পড়েছে আমদানীতে। । এপ্রিল মাসের চেয়ে তিন গুন বেশী রপ্তানী হয়েছে মে মাসে। জুনেও এর ধারাবাহিকতা অব্যহত আছে এবং সেপ্টেম্বর নাগাদ রপ্তানী কার্যক্রম আগের অবস্থায় ফিরবে বলে জানিয়েছে অফডক কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, রপ্তানীতে গতি ফিরে এলেও ভাটা পড়েছে আমদানীতে। আর ব্যবসায়ী নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে, শুধু মে-জুনের পরিসংখ্যন দিয়ে রপ্তানী কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ নির্ধারনের সময় এখনো হয়নি।
মার্চের শেষ সপ্তাহে বৈশ্বিক মহামারি করোনার ঢেউ আঁচড়ে পড়ে বাংলাদেশে। মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রার পাশাপাশি থমকে যায় অর্থনীতির চাকা। স্থবীরতা নেমে আসে বন্দরের কার্যক্রমে। স্বাভাবিক সময়ে মাসে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার রপ্তানীমুখি কন্টেইনার জাহাজীকরণ হলেও এপ্রিলে তা নেমে আসে ১৫ হাজারের নিচে। এছাড়া মাসে আমদানী পণ্যবাহী অন্তত আড়াই লাখ কন্টেইনার বন্দর থেকে খালাস হলেও এপ্রিলে তার পরিমান ছিলো ৬০ হাজারের নিচে। দুই মাসের ব্যবধানে রপ্তানী পণ্য বেড়ে তিন গুন হলেও বাড়েনি আমদানী।
রপ্তানী কর্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো বা অফডক কর্তৃপক্ষ বলছে, এপ্রিল মাসের চেয়ে মে ও জুন মাসে রপ্তানী কার্যক্রম তিনগুন বাড়লেও গত বছরের এই সময়ের তুলনায় তা ৫৫ শতাংশ কম। এছাড়া জুলাই মাসের বুকিং পরিসংখ্যনও নিন্মমুখি।
আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাব এখনো কাটেনি। তাই রপ্তানীমুখি পণ্যের নতুন অর্ডার এখনো আসেনি। মে-জুন মাসে যা রপ্তানী হয়েছে তার অধিকাংশই পুরনো অডারের পণ্য।
বিজিএমইএ’ মতে, করোনার প্রভাব কাটিয়ে বিশ্বের অনেক দেশই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। রপ্তানীর ভলিয়ম বৃদ্ধি তারই ইঙ্গিত। কিন্তু বৈশ্বিক এই দুর্যোগের প্রভাবে অর্থনীতির মন্দাভাব থাকবে আরো কিছুদিন। তাই এই সময়টা টিকে থাকতে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন ব্যবসায়ীদের।
দেশের মোট আমদানির ৮২ শতাংশ আর রপ্তানীর ৯১ শতাংশই পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। তাই এই একটি প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যনই জাতীয় অর্থনীতির মাপকাঠি। এপ্রিল মাসের পরিসংখ্যনে আতংক ছড়ালেও মে ও জুন মাসের রপ্তানীর হিসেবে আশার আলো ছড়িয়েছে ব্যবসায়ীদের মাঝে।