সংকুচিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার, অন্যদিকে দক্ষতার অভাবে কাঙ্খিত রেমিটেন্স থেকে বঞ্চিত বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৮:০২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
- / ১৫৭৮ বার পড়া হয়েছে
একদিকে সংকুচিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার, অন্যদিকে দক্ষতার অভাবে কাঙ্খিত রেমিটেন্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা- আইওএম বলছে, অদক্ষতার বেড়াজাল থেকে মুক্ত হতে না পারলে অভিবাসী খাতে সহসা কোনো সুফল মিলবে না। এজন্য বিশ্লেষকরা এ মুহুর্তে নজর দিতে বলছেন নতুন শ্রমবাজার খোঁজা আর দক্ষতার ওপর।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা- আইওএমের সবশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি অভিবাসীদের মধ্যে অদক্ষরা রেমিট্যান্স পাঠায় মূলত ঋণ পরিশোধের জন্য। অন্যদিকে দক্ষ অভিবাসীরা পাঠায় সঞ্চয় বা বিনিয়োগে। যদিও এর বেশিরভাগ যায় জমিজমা কেনা ও বাড়ী বানানোর পেছনে। আইওএম বাংলাদেশ মিশন প্রধান জানান, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন মন্দা-প্রভাবিত বিশ্ব অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স-নির্ভর মানুষকে সহায়তায় বাড়তি নজর দেবার বিকল্প নেই।
(আমরা অভিবাসীদের নিয়ে করা প্রতিবেদনে ৪টি বিষয়ে সুপারিশ করেছি। এর মধ্যে অভিবাসী কর্মীদের দক্ষতার বিকাশকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য সরকারকে সহায়তার কথা বলেছি। যাতে অভিবাসী কর্মীরা বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে পারেন)
আইওএমের এ প্রতিবেদনের সাথে ঐকমত্য প্রকাশ করে বায়রার সাবেক মহাসচিব বলেন, করোনার কারণে পুরো বিশ্বের কর্মসংস্থানের চিত্রই পাল্টে যাওয়ায় প্রচলিত পেশায় কর্মী-চাহিদা কমে যাচ্ছে।
তাই মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের বন্ধ বাজারের অভিজ্ঞতা থেকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে কাজে লাগানোর তাগিদ দেন বায়রা নেতারা। এক্ষেত্রে পুরনো বাজার খোলার বিকল্প নেই বলেও মত তাদের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করে ডিসেম্বরের মধ্যেই বন্ধ বাজার খোলা না গেলে অভিবাসী বাজারে প্রতিযোগী দেশগুলো ঢুকে পড়লে বাংলাদেশ হারাবে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার।