রেমিটেন্সে রেকর্ড হলেও ঠেকানো যাচ্ছে না প্রবাসীদের দেশে ফেরা
- আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
- / ১৬১৬ বার পড়া হয়েছে
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশে রেকর্ড গড়লেও এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে প্রবাসী কর্মীদের দেশে ফেরা ঠেকানো। এমন মন্তব্য করে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোকে এ ব্যাপারে বিশেষ বার্তা দেয়া হয়েছে যে, কাউকেই যেন দেশে ফিরতে না হয়। তাদের অন্যত্র বিকল্প চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবাসী কর্মীদের দেশে ফেরা হয়তো পুরোপুরি হয়তো ঠেকানো যাবে না। তাই এখনি দীর্ঘমেয়াদী অভিবাসন কর্মসূচি না নিলে রেমিটেন্সের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কঠিন হবে।
সদ্য বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন রেকর্ড হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রেকর্ড রিজার্ভ ৩৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সই ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা।
এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আসে ১৬ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আসে ১৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৪ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
প্রায় ১ কোটি প্রবাসী কর্মীর পাঠানো এই রেমিটেন্সে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রীও।
পররাষ্ট্র মন্ত্রীর মতে, আনন্দের মাঝেও বেদনার হলো- করোনাকালে বহু শ্রমিকের চাকুরিচ্যুতি। তাই আগের রেকর্ড ধরে রাখাটাই হবে আগামীতে বড় চ্যালেঞ্জ।
জনশক্তি বিশ্লেষকদের মতে, দেশে ফিরে আসার আগে অনেকেই এখন সেখান থেকে সব পুঁজি পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু দেশে ফিরে কি করতে পারবেন সেটা হয়তো চিন্তা করেননি। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনি তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দরকার।
তবে, দেশে ফিরে আসা ও চাকরি হারানো প্রবাসী– সবার জন্যই বিশেষ সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করেন উভয়েই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মহামারি শেষে প্রবাসীদের সুরক্ষা দিতে উন্নত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরী করা গেলে, ফিরে আসা ব্যক্তিরাই আবার অধিক বেতনে প্রবাসে পাড়ি জমাতে পারবেন।