কোরবানীর বাজারে মন্দাভাব দেখে লাভের চেয়ে ব্যাংকের দেনা পরিশোধ নিয়েই চিন্তিত খামারিরা
- আপডেট সময় : ০১:২১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুলাই ২০২০
- / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে তালিকাভুক্ত প্রায় ৮ হাজার গরুর খামারের মধ্যে ৫ হাজারই ব্যাংক ঋণ নিয়ে গড়ে উঠেছে। তাই কোরবানীর বাজারে মন্দাভাব দেখে নিজেদের লাভের চেয়ে ব্যাংকের দেনা পরিশোধ নিয়েই চিন্তিত খামারিরা। আগামী বছরগুলোতে কোরবানীর পশুতে স্বনির্ভরতা ধরে রাখতে হলে এ খাতে প্রণোদনাসহ সরকারের বিশেষ নজর চান উদ্যোক্তারা। আর প্রাণী সম্পদ বিভাগ বলছে, কোরবানীর বাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের হলে প্রান্তিক খামারিদের নগদ সহায়তার বিষয়টি বিবেচনায় আছে সরকারের।
ছোট-বড় এমন ৮ হাজার খামার রয়েছে বন্দর নগরীতে। কোরবানীর ঈদকে টার্গেট করে এসব খামারে প্রায় ৭ লাখ গরু, মহিষ, ছাগলসহ কোরবানী যোগ্য পশু মোটা তাজা করেছেন খামারীরা। অন্যান্যবার ঈদের দু’মাস আগে থেকে খামারগুলোতে ব্যপারিসহ ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়লেও এবার তেমনটি নেই।
তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংক ও স্থানীয় এনজিও থেকে ঋণ নিয়েই গড়ে তোলা খামারের মালিকেরা ঋণের কিস্তি শোধ দেয়া নিয়েই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
ক’বছর আগেও ভারত ও মিয়ানমার থেকে আসা পশুর ওপর নির্ভরশীল ছিলো বাংলাদেশের কোরবানীর বাজার। কিন্তু সরকারের নানামুখি উদ্যোগ আর উদ্যোক্তাদের আগ্রহে এখন কোরবানীর পশুতে স্বনির্ভরতা এসেছে। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে প্রনোদনার পাশাপাশি পশুখাদ্যের বাজারে সরকারের তদারকি চান সংশ্লিষ্টরা।
আর প্রাণি সম্পদ বিভাগ বলছে, করোনার কারণে বাজারে ক্রেতার আনাগোনা কমার আশংকা আছে। তবে অনলাইনে বেচাকেনা বেড়েছে। আধুনিক এসব পদ্ধতীর সুবিধা না পাওয়া প্রান্তীক খামারীদের পাশে দাড়ানোর পরিকল্পনাও আছে সরকারের।
গত বছর ৭ লাখ ৩০ হাজার পশু কোরবানী হয়েছিলো। প্রবৃদ্ধির হিসেবে যা আগের বছরের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি। করোনার কারণে এবার নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি ধরেই রেখেছে প্রাণীসম্পদ বিভাগ। এখন তা কতটা সহনিয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব সেটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।