হাতুর আর বাটাল দিয়ে পুরনো পদ্ধতিতে চলছে ময়নাতদন্তের কাজ
- আপডেট সময় : ০৩:২১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
- / ১৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেই মরদেহ কাটার উন্নত যন্ত্রপাতি। হাতুর আর বাটাল দিয়ে পুরনো পদ্ধতিতে চলছে ময়নাতদন্তের কাজ। মরদেহ বহনকারীদেরও হয়নি ভাগ্যের কোনো উন্নয়ন। জোটেনা সরকারি- বেসরকারি সহযোগিতাও।
ভ্যানে মরদেহ বহনকারী ষাটোর্ধ মানুষটির নাম শকু মিয়া। দীর্ঘ ৩৫ বছর থেকে গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনা, ফাঁসির মরাসহ বেওয়ারিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায়। এ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার লাশ বহন করেছেন তিনি। প্রতিমাসে পাঁচ থেকে সাতটি লাশ বহন করে থাকেন। প্রতি খেপে দুই থেকে তিন হাজার টাকা পান। কোনো কারণে কাজে যেতে না পারলে, সংসার চলে না।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রতিমাসে গড়ে ১০ থেকে ১৫টি মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।কিন্তু, আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় লাশ কাটতে হয় ছুরি, ব্লেড, হাতুর ও বাটাল দিয়ে। হিমঘর ও জেনারেটরও নেই। বিদ্যুত-পানির সমস্যা নিয়ে কাজে করতে হয় বলে জানায়, এই ডোম।
সমস্যার কথা স্বীকার করে সিভিল সার্জন জানান, যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন চাহিদা মন্ত্রানলায়ে পাঠানো হয়েছে।
মর্গে হিমাগারসহ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আনার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, জেলা প্রশাসক।
পাশাপাশি মরদেহ বহনকারী ব্যক্তিকেও সহকারি সহযোগিতার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।