স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দুদকের অভিযানে রিজেন্ট-জেকেজি’র বেশকিছু নথি প্রমাণ জব্দ
- আপডেট সময় : ০৭:১৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০
- / ১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
চিকিৎসার নামে রিজেন্টের হাসপাতালের প্রতারণাসহ স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক। অভিযানের সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিজি অধ্যাপক নাসিমা সুলতানার সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আলোচনা করে দুদক টিম। তবে এসময় গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেননি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা আবুল কালাম আজাদ। এদিকে রিজেন্টের সাহেদের দুর্নীতির বিষয়ে বেশকিছু নথি-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং জেকেজির ডা. সাবরীনা ও আরিফ চৌধুরীর দুর্নীতির বিরুদ্ধেও দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে দাবী করেছেন দুদক সচিব দেলোয়ার বখত।
করোনা চিকিৎসা ও সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে শুরু হয় দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের অভিযান।দুদকের অনুসন্ধান টিম প্রধান মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে অনেক নথিপত্র পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে নথি যাচাই-বাছাইয়ে কাগজপত্রের অসঙ্গতি পাওয়া যায়। লাইসেন্সের কপি পেলেও ছিল না নবায়ন কিংবা হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট অনেক বিভাগের অনুমোদন। এমনকি কোভিড-১৯ এর এমওইউ এর কাগজপত্রেও অসঙ্গতি পাওয়া যায়।
অন্যদিকে মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের উপপরিচালক ডা শাহজাহানসহ ৩ কর্মকর্তা। ১০টা থেকে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এসময় গণমাধ্যমের কাছে দুদক সচিব জানান, রিজেন্টের শাহেদ প্রতারণার বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
এসময় জেকেজির ডা সাবরীনা ও আরিফের প্রসঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে নারাজ সিএমএসডির সহকারি পরিচালক ডা শাহজাহান।
করোনার সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির অনুসন্ধানে আগামীকাল সিএমএসডির আরো ৩ কর্মকর্তাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান কর্মকর্তারা।