করোনার কারনে এবার কোরবানীতে পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারীরা
- আপডেট সময় : ০১:৫৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
করোনার কারনে এবার কোরবানীতে পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারীরা। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই শঙ্কা বাড়ছে তাদের । বাংলাদেশ গরু ব্যবসায়ী সমিতি বলছে, প্রতিটি খামারীকে আকারভেদে ২ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনতে হতে পারে। ব্যাবসায়ীদের মতে গরুর হাট বসানো না বসানো নিয়েও এখনো ধোয়াশা রয়ে যাওয়ায় ক্ষতির শঙ্কা ক্রমেই ঘনীভুত হচ্ছে।
ঈদুল আযহা বা কোরবানীর ঈদের বাকী মাত্র ১০ দিন। প্রতিবছর কুরবানীতে প্রায় ১ কোটি পশু কোরবানী হয় যার অধিকাংশই গরু। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, দেশে মোট গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৪০ লাখ। সব মিলিয়ে এবারও কোরবানির জন্য ১ কোটি ২০ লাখের ওপরে প্রস্তুত রয়েছে। গত কোরবানির ঈদে ১ কোটি ১৭ লাখ গরু, ছাগল, মহিষ প্রস্তুত ছিলো । এর মধ্যে গরুর সংখ্যা ছিল ৪৫ লাখ। কোরবানিতে পশু জবাই করা হয়েছিল ১ কোটি ৬ লাখ। ১০ লাখ পশুর যোগান বেশি ছিল চাহিদা থেকে। সে হিসেবে এবারও অন্য দেশের পশু ছাড়া দেশের চাহিদা মেটাতে খামারীরা প্রস্তুত। রাতদিন অত্যন্ত যত্নে লালন পালন করছেন এসব পশুকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্যবছর ঈদের একমাস আগ থেকেই সারাদেশে গরুর পাইকারদের অনেক চাহিদা থাকলেও এবার করোনায় তা শুন্যের কোঠায়।
রাজশাহী বিভাগের প্রায় সব জেলা থেকে এবার বড় খামারীরা ঢাকায় আসবেন কি না এমন প্রশ্নে ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশনের বিভাগীয় সভাপতি জানালেন তাদের শঙ্কার কথা। অন্যদিকে খামারীদের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে গরু ব্যবসায়ী সমিতির এই নেতা জানালেন বাস্তবতা। তাদের মতে হাট নিয়ে মানুষের ভীতি রয়ে যাওয়ায় এবং হাট সংখ্যা কমে যাওয়াতেও ধারণা করা হচ্ছে এবার ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন প্রত্যেক খামারী।