স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ছাপাখানা থেকেই মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ মিলেছে
- আপডেট সময় : ০৮:৪৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০
- / ১৬৮৬ বার পড়া হয়েছে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে থাকা ছাপাখানা থেকেই মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। দীর্ঘদিন টানা অনুসন্ধানে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারের পর চাঞ্জল্যকর এমন তথ্য পায় সিআইডি’র সাইবার পুলিশ। দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস। এই ঘটনায় অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কিংবা আর্মডফোর্স মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়াটা মেধাবী শিক্ষার্থীদের একটা স্বপ্ন। এই লক্ষ্যে প্রতি বছর কয়েক লাখ শিক্ষার্থী কঠোর পরিশ্রমের পর অংশ নেন ভর্তি পরীক্ষায়। কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ব্যর্থ হয়ে যায়, যখন প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মাধ্যমে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্র দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভালো বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মেডিকেলে ভর্তি হয়ে যায়।
বেশ কয়েক বছর ধরে এমন প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের পরও কোন সুরাহা না হওয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা বই কলম ছেড়ে রাজপথে আন্দোলন করতেও বাধ্য হয়েছেন।
এসব নিয়ে বরাবরের মতোই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি বেশ বড় গলায় মেডিকেল ও ডেন্টাল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি অস্বীকার করতেন।
তবে মেডিকেল, ডেন্টাল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর সম্প্রতি এই চক্রের মুলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে সিআইডির সাইবার পুলিশ।
এই নিয়ে বিস্তারিত জানাতে দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করেন সাইবার ইউনিটের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস। গ্রেফকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ছাপাখানা থেকে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। গ্রেফতারের পর তাদের একজনের কাছ থেকে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক এবং অন্যজন থেকে ৮৪ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয় বলেও জানান সুমন কুমার দাস।