৫ বছরের ব্যবধানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দেনা চার শো কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
- আপডেট সময় : ০১:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০
- / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে প্রত্যাশা প্রাপ্তির হিসেব নিকেশ। নগরবিদদের মতে নির্ধারিত সময়ের ৫ বছরে শুধু বিলবোর্ড উচ্ছেদ ছাড়া কোন কাজেরই শতভাগ শেষ করতে পারেননি তিনি। অথচ কর্পোরেশনের দেনার দায় বেড়েছে ৪ গুনেরও বেশী। যদিও মেয়র নাছিরের দাবি, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ছাড়া প্রতিশ্রুতির শতভাগই বাস্তবায়ন করেছেন তিনি।
আকাশ ছোঁয়া এমন বিলবোর্ডের আড়ালে ঢাকা পড়েছিলো বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সৌন্দর্য। দায়িত্বের শুরুতে বিলবোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযানের মধ্যদিয়ে বেশ বাহাবা কুড়িয়েছিলেন সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন। কিন্তু সেই গতি আর ধরে রাখতে পারেননি বেশিদিন।
মন্ত্রণালয়ে ঘুষ দেয়ার কথা বলে আমলাদের সঙ্গে বিরোধ, সিডিএসহ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্ময়হীনতা, নিজ দলের এমপি, মন্ত্রী ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দুরত্ব বাড়িয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন মাঝে মধ্যেই। এতে সরকারি দলের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হয়েছে সিটি কর্পোরেশন।
১২০ কোটি টাকা দেনা রেখে দায়িত্ব ছেড়েছিলেন বিএনপির মেয়র মনজুর আলম। ৫ বছরের ব্যবধানে সেই দেনা এখন চার শো কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। কর্পোরেশনের হিসেব বিভাগ বলছে, উন্নয়ন কাজের বিপরীতে ঠিকাদারদের পাওনা আছে ৩ শ’ কোটি টাকার বেশি। অবসরে যাওয়া কর্মীদের কাছে দেনার পরিমান ৭৫ কোটি টাকা। গেল ঈদে কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিতেও হিমসিম খেয়েছে এককভাবে দেশের সবচেয়ে বড় এই সিটি কর্পোরেশন। মেয়রের দাবি অপরাজনীতির শিকার হওয়ার কারণেই আয়বর্ধক প্রকল্পগুলো ব্যর্থ হয়েছে তার।
নগরবিদরা বলছেন, মেয়রের দায়িত্বের বাইরে নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ক্রিড়া সংস্থার সেক্রেটারীসহ অনেকগুলো দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সিটি কর্পোরেশনের দিকে মনযোগ দিতে পারেননি তিনি। আর এতেই প্রত্যাশা-প্রাপ্তির হিসেব মেলেনি নগরবাসীর।
আ.জ.ম নাছিরের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে, ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ, নগরীর সৌন্দর্য বর্ধন, সড়কবাতি স্থাপনে কিছুটা সফলতা এলেও পুরোপুরি ব্যার্থ হয়েছে জলাবদ্ধতা নিরসনে। সড়ক সংস্কারে ধীরগতি, যানজট নিরসনে নেয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে না পারার দায় নিয়েই বিদায় নিতে হচ্ছে আলোচিত এই নগর পিতাকে। ফুটেজ-৫