রপ্তানী আদেশ না থাকায় চামড়ার বাজারে বিপর্যয়
- আপডেট সময় : ০১:২৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
ন্যায্য দাম না পাওয়ার শঙ্কায় চামড়া সংগ্রহে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না আড়তদাররা।আর রপ্তানি আদেশ না থাকায় চামড়ার বাজারে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যানারি মালিকরা। তারা বলছেন, বিদেশের চাহিদার উপর চামড়ার বাজার নির্ভরশীল। এ খাতের উন্নয়নে সরকারের পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন। না হলে চামড়া শিল্পাঞ্চল খ্যাত সাভারের ট্যানারী ক্রমেই প্রানহীন হয়ে পড়বে।
কোরবানীর পশুর চামড়র দাম নিয়ে হতাশা থাকায়, এবারও চামড়ার বাজার নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে শংকা। আড়তদাররা দাম না পেয়ে চামড়া সংগ্রহে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাদের দাবি, সরকার নির্ধারিত বর্গফুটের হিসেবে চামড়া ক্রয় না করে ট্যানারী মালিকরা পিছ হিসেবে ক্রয় করছেন। যে কারণে দাম ধরা হচ্ছে ৩’শ থেকে সর্বোচ্চ ৭’শ টাকাপর্যন্ত। এ অবস্থায় চামড়া সংরক্ষনের পর তা ট্যানারী মালিকদের কাছে হস্তান্তরে লোকসান গুনতে হবে মোটা অংকের টাকা। এছাড়া পূর্বের বকেয়া বিল এবং এবারও ট্যানারী সমালিকরা কাচাচামড়া ক্রয়ে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ না করায় চরম বিপদে পড়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। ১৩০ টি ট্যানারী শিল্পের মধ্যে এবার চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষন করছে অর্ধেকেরও কম ট্যানারী শিল্প। এবারের ঈদ মৌসুমে কাচাচামড়া সংরক্ষনে নিজেদের কর্মের কথা জানালেন ট্যানারী শ্রমিকরা।
আড়তদাররা জানালেন, চামড়ার বাজারে ধস থাকায় ট্যানারী মালিকদের কাছ থেকে দাম পাওয়া যাচ্ছে না, তাই এবারও এ খাতে লোকসান দেখছেন তারা।ট্যানারী মালিকরা জানালেন, রপ্তানী আদেশ না থাকায় চামড়ার বাজার পড়ে গেছে। এখাতের উন্নয়নে সরকারের পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন।ইসমাইল লেদার ট্যানারীর মালিক জানালেন, গরু কিংবা খাসির চামড়ার চাহিদা নেই বললেই চলে। বিদেশের চাহিদার উপর আমাদের চামড়ার বাজার নির্ভরশীল। তারপরও সাধ্যমত চেষ্টা চলছে চামড়া ক্রয়ের।