ওয়ার্ডের চেয়ে চারগুণ বড় কক্ষ চিফ মেডিক্যাল অফিসারের
- আপডেট সময় : ০১:৫১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী রেলওয়ে হাসপাতালেরে একটি ওয়ার্ডের চেয়ে চারগুণ বড় কক্ষ বরাদ্দ নিয়েছেন চিফ মেডিক্যাল অফিসার। আর ছোট ছোট কক্ষে ঠাসাঠাসি করে বেড পেতে বানানো হয়েছে রোগীদের ওয়ার্ড। হাসপাতালের ইনডোরে প্রায়ই রোগীশুন্য থাকে। তবে আউট ডোরে ফ্রি ওষুধ পেতে চাপ সামালানোই দায়।
চিকিৎসকদের মতে, হাসপাতালের ওয়ার্ডে এক বেড হতে আরেক বেডের দুরত্ব অন্তত ৫ফুট দুরত্ব রাখা উচিত। অথচ রাজশাহী রেলওয়ে হাসপাতালের এ ছোট্ট কক্ষটিতেই ঠাসাঠাসি করে পাতানো হয়েছে তিনটি বেড। এ রকমই তিনটি কক্ষ নিয়ে পুরুষ ওয়ার্ড। অথচ এ ভবনেরই দ্বিতীয় তলায় বিশাল আয়তনের এই আলিশান কক্ষটি বরাদ্দ সিএমও’র জন্য।
খাতা কলমে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল এটি। জরুরি রোগীদের জন্য আছে ইনডোরে ভর্তির ব্যবস্থা। আর নিয়মিত বিভাগ হিসেবে আউটডোর। দ্বিতীয় তলার অপারেশন থিয়েটারটি কবে থেকে সীলগালা তা বলতেও পারছেন না বর্তমান কর্মকর্তারা।দীর্ঘদিন ধরে তালা ঝুলছে এক্সরে রুমেও। কর্মস্থলে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত কর্মচারীরা বিপাকে পড়েছেন বেশি।হাসপাতালের পরিসংখ্যান বলছে, গেল ফেব্রুয়ারি মাসে রোগী ভর্তি হয়েছিলেন মাত্র আটজন। অথচ ওই মাসেই আউট ডোর থেকে ফ্রিতে ওষুধ নিয়ে গেছেন এক হাজারেরও বেশি রোগী। অভিযোগ আছে, সরকারি ওষুধের বেশির ভাগ লোপাট হয়ে যায় নানাভাবে।
অভিযোগের বিষয়ে জবাব মেলে নি চিফ মেডিক্যাল অফিসারের কাছে। তবে তিনি বলছেন, সকল রোগীর জন্যই খাবারের সুযোগ থাকলে বেড়ে যাবে চিকিৎসাসেবার মান।হাসপাতালটিতে নানাখাতে বছরকে বছর বিপুল টাকা খরচ দেখানো হচ্ছে। কিন্তু নিশ্চিত করা যায় নি স্বাস্থ্যসেবা।