স্বাস্থ্য বিভাগের তেলেসমাতি;বরখাস্ত হয়েও চাকরী করছেন বহাল তবিয়তে
- আপডেট সময় : ০৩:২৩:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
খাতা কলমে সহকর্মীকে হয়রানীর অভিযোগে বরখাস্ত বান্দরবানের জেলা স্যানিটারি ইনস্পেক্টর সুজন বড়ুয়া। অথচ তিনি বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন অফিসে। বিষ্ময়করভাবে পদন্নতি নিয়ে হয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক। এছাড়া তিনটি পদে দায়িত্ব পালন করছেন একাই। শুধু তাই নয়, চাকরির শুরুতে স্থায়ী ঠিকানা জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নিজের ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে পার পাওয়ার চেষ্টা করেছেন সুজন বড়ুয়া। আর তার ব্যাপারে মোটেই মুখ খুলতে রাজি হননি চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
সুজন বড়ুয়া, ২০০৪ সালের জুলাই মাসে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োগ পান স্বাস্থ্য সহকারি হিসেবে। তখন তার স্থায়ী ঠিকানা দেখানো হয় হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা পালং গ্রাম। এখানে কর্মরত অবস্থায়ই ২০১২ সালে পার্বত্য জেলা পরিষদের অধিনে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারী ইন্সপেক্টর হিসেবে নিয়োগ পান নতুন করে। এই নিয়োগপত্রে তার ঠিকানা দেখানো হয় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম বড়ুয়া পাড়া। কারণ জেলা পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে তিন পার্বত্য জেলার বাইরের বাসিন্দাদের আবেদন করার সুযোগই ছিলো না।
ক’দিন পর পদন্নতি নিয়ে জেলা স্যানিটারি ইনস্পেক্টর হিসেবে যোগ দেন বান্দরবান সিভিল সার্জন অফিসে। সেখানে এক নারী সহকর্মীকে হয়রানীর অভিযোগে বরখাস্ত করা হয় সুজন বড়ুয়াকে। বরখাস্ত থাকা অবস্থায় অলৌকিকভাবে বদলী হন ফেনীতে। সেখান থেকে আসেন চট্টগ্রামে, হয়ে যান বিভাগীয় স্বাস্থ্য তত্বাবধায়কের মতো স্বাস্থ্য খাতের গুরুত্বপুর্ণ ব্যাক্তিত্ব। তার এই বিস্ময়কর উত্থানে হতবাক তারই ব্যাচমেটরা। স্বাস্থ্যখাতে সুজন বড়ুয়ার প্রভাব এতটাই যে তার সম্পর্কে কথা বলতে নারাজ বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকও।
বিষয়টি নিয়ে সরাসরি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া। তবে সবগুলো অভিযোগ থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতর তাকে অব্যহতি দিয়েছে বলে দাবি তার।
কক্সবাজার থেকে গিয়ে বান্দরবানের ঘুমধুমে জমি কিনে বাড়ি করে স্থায়ী ঠিকানা গড়েছেন সুজন বড়ুয়া এমন দাবি করলেও পার্বত্য আইনে এমন কোন সুযাগ নেই।