০২:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর খুটির জোর কোথায় ?

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫৬০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর সাবেক এমডি, বর্তমান পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর খুটির জোর কোথায় ? তিনি চট্রগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার করইনগরের মানুষের কাছে জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত। বার বার পদোন্নতি পাওয়া দুর্নীতি পরায়ন এই কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের পরিচয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক পদটিও ভাগিয়ে নিয়েছেন। আইয়ুব খানের এমন উত্থানে হতবাক তার এলাকার মানুষসহ স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা। এদিকে, তার ছোট ভাই জামায়াতের সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যন ইব্রাহীমের নামে এক ডজনের বেশি নাশকতার মামলা রয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইয়ুব খান চৌধুরী ।

২০১৪ সালে কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর এমডি হিসেবে যোগ দেন আইয়ুব খান চৌধুরী। সেখানে যোগদানের পর একক আধিপত্য বিস্তার করে সকল অপকর্মের নেতৃত্ব দেন তিনি। পরে পুরুস্কার হিসেবে ২০১৭ সালে পোট্রোবাংলার পরিচালনা পরিষদের পরিচালক পদে বিশ্ময়কর এক পদন্নতি নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যান তিনি। আর এই পদে পদন্নতি পেতে নিজেকে আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে উপস্থাপন করেন আইয়ুব খান।

অথচ তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া করইনগর এলাকার বাসিন্দারা তাকে চেনেন জামায়াতে ইসলামীর পৃষ্টপোষক হিসেবে। তার ছোট ভাই ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী ওরফে সেতু ২০১৪ সালে জামায়াতের মনোনয়নে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর উপজেলা জুড়ে যে তাণ্ডব চলেছিলো তা ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ছিলেন ঘটেছিল। আর পেছন থেকে অর্থ সহায়তাসহ কলকাঠি নেরেছিলেন এই আইয়ুব খান চৌধুরী। আইয়ুব খানের তদবিরে মামলাগুলোর কার্যক্রম জিমিয়ে পড়েছে।

২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত মাসে অন্তত দু’বার গ্রামের বাড়িতে আসতের আইয়ুব খান চৌধুরী। কিন্তু পড়ে নিজের জামায়াত পরিচয় ঢাকতে এলাকায় যাতায়াত কমিয়ে দিয়েছেন। এমনকি নিজের পৈত্রিক বাড়ি ফেলে চার ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে দিয়েছেন সাতকানিয়ার বাইরে লোকচক্ষুর অন্তরালে। আইয়ুব খানের এই বিশ্বয়কর উত্থানে হতবাত আওয়ামীলীগ নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তাদের দাবি এমন অনুপ্রবেশ রুখতে না পারার কারণেই মাঝে মধ্যেই বিব্রত হতে হচ্ছে সরকারকে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও বিষয়গুলো অজ্ঞাত কারনে নজর দিচ্ছেনা।

পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে চাচাতো ভাইদের বিতারিত করতে ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতির অভিযোগও আছে শীর্ষ এই সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। উপজেলা ভুমী অফিসকে এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন, আইয়ুব খান চৌধুরী।নিজের ভাইয়ের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর খুটির জোর কোথায় ?

আপডেট সময় : ০২:১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অগাস্ট ২০২০

কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর সাবেক এমডি, বর্তমান পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর খুটির জোর কোথায় ? তিনি চট্রগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার করইনগরের মানুষের কাছে জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত। বার বার পদোন্নতি পাওয়া দুর্নীতি পরায়ন এই কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের পরিচয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক পদটিও ভাগিয়ে নিয়েছেন। আইয়ুব খানের এমন উত্থানে হতবাক তার এলাকার মানুষসহ স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা। এদিকে, তার ছোট ভাই জামায়াতের সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যন ইব্রাহীমের নামে এক ডজনের বেশি নাশকতার মামলা রয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইয়ুব খান চৌধুরী ।

২০১৪ সালে কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর এমডি হিসেবে যোগ দেন আইয়ুব খান চৌধুরী। সেখানে যোগদানের পর একক আধিপত্য বিস্তার করে সকল অপকর্মের নেতৃত্ব দেন তিনি। পরে পুরুস্কার হিসেবে ২০১৭ সালে পোট্রোবাংলার পরিচালনা পরিষদের পরিচালক পদে বিশ্ময়কর এক পদন্নতি নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যান তিনি। আর এই পদে পদন্নতি পেতে নিজেকে আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে উপস্থাপন করেন আইয়ুব খান।

অথচ তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া করইনগর এলাকার বাসিন্দারা তাকে চেনেন জামায়াতে ইসলামীর পৃষ্টপোষক হিসেবে। তার ছোট ভাই ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী ওরফে সেতু ২০১৪ সালে জামায়াতের মনোনয়নে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর উপজেলা জুড়ে যে তাণ্ডব চলেছিলো তা ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ছিলেন ঘটেছিল। আর পেছন থেকে অর্থ সহায়তাসহ কলকাঠি নেরেছিলেন এই আইয়ুব খান চৌধুরী। আইয়ুব খানের তদবিরে মামলাগুলোর কার্যক্রম জিমিয়ে পড়েছে।

২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত মাসে অন্তত দু’বার গ্রামের বাড়িতে আসতের আইয়ুব খান চৌধুরী। কিন্তু পড়ে নিজের জামায়াত পরিচয় ঢাকতে এলাকায় যাতায়াত কমিয়ে দিয়েছেন। এমনকি নিজের পৈত্রিক বাড়ি ফেলে চার ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে দিয়েছেন সাতকানিয়ার বাইরে লোকচক্ষুর অন্তরালে। আইয়ুব খানের এই বিশ্বয়কর উত্থানে হতবাত আওয়ামীলীগ নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তাদের দাবি এমন অনুপ্রবেশ রুখতে না পারার কারণেই মাঝে মধ্যেই বিব্রত হতে হচ্ছে সরকারকে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও বিষয়গুলো অজ্ঞাত কারনে নজর দিচ্ছেনা।

পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে চাচাতো ভাইদের বিতারিত করতে ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতির অভিযোগও আছে শীর্ষ এই সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। উপজেলা ভুমী অফিসকে এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন, আইয়ুব খান চৌধুরী।নিজের ভাইয়ের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন তিনি।