হাসপাতালে রোগীদের মানহীন খাবার ও ওষুধ নিয়ে চলছে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম
- আপডেট সময় : ০২:২০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের মানহীন খাবার ও ওষুধ নিয়ে চলছে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম। খাবার সরবরাহকারী প্রভাবশালী ৭ ঠিকাদার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, স্টোর থেকে মূল্যবান ওষুধ পাচার করা হচ্ছে নির্ধারিত ফার্মেসিগুলোতে। আর শুধু কিছু কমদামী ওষুধ জুটছে রোগীদের ভাগ্যে। এ পর্যন্তই শেষ নয় রোগী ও তাদের স্বজনরা পানি সংকটে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
বরিশাল শেরেবাংলা হাসপাতালে বছরে সাড়ে ছয় কোটি টাকার খাবার সরবরাহ করে আসছে সিন্ডিকেটে থাকা ৭ প্রভাবশালী ঠিকাদার। মাছ, মুরগী ও খাসীর মাংস এবং ডিম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খাবারের মূল্য ধরা হয়েছে বাজার দরের চেয়ে অনেক বেশী। এসব খাবারের নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ওজনে অনেক কম দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর যে খাবার দেয়া হয়, তা খুবই নিম্নমানের। একইভাবে বছরে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার ১২০ থেকে ১৩০ ধরনের ওষুধ সরবরাহ দেখানো হয় হাসপাতালে। অথচ ওই ওষুধ ঠিকাদার সর্বোচ্চ খুচরা দামে সরবরাহ করলেও বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর কাছ থেকে কেনা হয় অনেক বেশি কমিশনে। কাগজপত্রে দেখানোর তুলনায় নেয়াও হয় কম। তার ওপর ওই ওষুধ হাসপাতালে আসার পর স্টোরে চলে সীমাহীন দুর্নীতি।
আধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের উন্নয়নের দাবি রোগী ও তার স্বজনদের। হাসপাতালে খাবার থেকে ওষুধ– সব কিছুতেই প্রশাসনের যোগসাজসে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ বিভাগ উন্নয়ন পরিষদের নেতাদের। তবে হাসপাতালের পরিচালক খাবার সরবরাহে সিন্ডিকেটের কথা অস্বীকার করেছেন।
এদিকে গত ১৪ আগস্ট থেকে হাসপাতালে পানি না থাকায় মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। সেই সাথে পানি সংকটে ভুগছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কেউ পানি কিনে, কেউবা আশপাশের এলাকা থেকে পানি সংগ্রহ করে জরুরী কাজ সারতে বাধ্য হচ্ছেন।