সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালী ইলিশ, মোকামে দাম কমায় হতাশ জেলেরা
- আপডেট সময় : ০২:১১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
ফিশিংবোটের আমদানীর উপর নির্ভর করেই বরিশালের ইলিশ মোকামে কমে-বাড়ে ইলিশের দাম। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ইলিশবাহী ফিশিংবোট বেশী আসায় ইলিশের দাম অনেক কমেছে। ইলিশ সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় পচন ধরার আগেই দাম কমিয়ে তা দ্রুত বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছেন আড়তদাররা। এতে সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ শিকারে জেলেরা আনন্দিত হলেও মোকামে দাম কমায় তারা কিছুটা হতাশ।
এক সপ্তাহ আগেও বরিশালের পোর্টরোড খালে ইলিশ নিয়ে প্রতিদিন ৪/৫টির বেশি ফিশিংবোট ভিড়তো না। এখন সেখানে সাগর থেকে ইলিশ ধরে প্রতিদিন ভিড়ছে ৪০ থেকে ৫০টি ফিশিংবোট। প্রতিটি বোটই ইলিশে ভরপুর। বোট থেকে ইলিশ নামিয়ে আনা হচ্ছে আড়তগুলোর সামনে। আর আড়ত থেকে তা একদিকে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে, অন্যদিকে ট্রাকে করে যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়।
চলতি মৌসুমের স্বাভাবিক দিনগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ৩/৪শ’ মণ ইলিশ মোকামে আসলেও এ সপ্তাহে একদিনে এসেছে সর্বোচ্চ ৬ হাজার মণ এবং সর্বনিম্ন ৩ হাজার মণ ইলিশ। কিন্তু এতো ইলিশের চাহিদা না থাকায়, দাম কমিয়ে দ্রুত ছেড়ে দিচ্ছেন জেলেরা।
ইলিশ সংরক্ষণের কোল্ড স্টোরেজ না থাকায় স্বল্প মূল্যে বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানালেন আড়তদাররা।
করোনাকালে আয় হারিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমায় ইলিশের আড়তদার ও জেলেরা লোকসানের মুখে পড়ার দাবি করেছে। আর জেলা প্রশাসক বললেন, ইলিশ রপ্তানী করতে পারলে জেলেরা লাভবান হতে পারে।
বরিশালের পাইকারি বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ ৮শ’ টাকা, ১২শ’ গ্রামের ইলিশ ৯শ’ টাকা কেজি দরে, ৫শ’ গ্রামের ইলিশ সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজি এবং ৬শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ সাড়ে ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।