এসএটিভিকে ঘুসের প্রস্তাব পাঠালেন পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরী
- আপডেট সময় : ০৩:৩১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৫১ বার পড়া হয়েছে
এবার এসএটিভিকে ম্যানেজ করতে টাকার প্রস্তাব পাঠালেন পেট্রোবাংলার পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরী। সম্প্রতি এসএটিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসে নিজের ছোট ভাই ও কেজিডিসিএলের মার্কেটিং বিভাগের জিএম আমিনুর রহমানকে দিয়ে টাকার প্রস্তাব পাঠান তিনি। এবিষয়ে টিআইবির জাতীয় পর্ষদ সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার এসএ টিভিকে বলেন, এমন অনৈতিক প্রস্তাব পাঠিয়ে পরক্ষোভাবে সব অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন আইয়ুব খান চৌধুরী। তার মতো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণেই দুর্নীতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকারের জ্বালানী খাত।
কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর সাবেক এমডি, বর্তমানে পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোটা অংকের কমিশনের মাধ্যমে ক্রয় বাণিজ্য, ক্ষমতার দাপটে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের দুই সন্তানকে নিয়োগ এবং জামায়াতের রাজনীতির সরাসরি পৃষ্টপোষকতাসহ একাধিক তথ্যভিত্তিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে এসএটিভি। এতে তোলপাড় শুরু হয় পেট্রোবাংলা, কেজিডিসিএল ও সাতকানীয়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় সংবাদ প্রচার বন্ধ করতে এসএটিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসে টাকার প্রস্তাব নিয়ে আসেন কেজিডিসিএলের জিএম আমিনুর রহমান।সঙ্গে আসেন আইয়ুব খানের ছোটভাই পরিচয় দানকারি আরেক ব্যক্তি। কিন্তু এসএটিভির পক্ষ থেকে তাদের এই অবৈধ প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করা হয়।
দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠান টিআইবি বলছে, এমন অনৈতিক প্রস্তাবের মাধ্যমে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আইয়ুব খান। এখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ধরণই বলে দেবে, কোন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন আইয়ুব খান। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন বলছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। তারপরও থামেনি বিতর্কিত এই কর্তকর্তার বিষ্ময়কর উত্থান। এই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকলে উৎসাহিত হবে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাবের অভিযোগ আইয়ুব খান এমডি থাকাকালীন দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী। তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয় রয়েছে কেজিডিসিএলে।
প্রভাবমুক্তভাবে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষে এবং সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার দাবি করেন বিশ্লেষকরা।