কক্সবাজারের বহুল আলোচিত ‘রামু ট্রাজেডি’র ৮ বছর আজ
- আপডেট সময় : ০৩:২৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৬৭৪ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজারের বহুল আলোচিত ‘রামু ট্রাজেডি’র ৮ বছর আজ। ২০১২ সালের এইদিন দেশের সবচেয়ে বড় সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে শত বছরের মন্দির, মূর্তি আর বসতবাড়ি হারায় রামু, উখিয়া এবং টেকনাফের বৌদ্ধ সম্প্রদায়। এরিমধ্যে গত ৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় সেইসব ক্ষতস্থানে শৈল্পিক মন্দির, মূর্তি আর বসতবাড়ি মিলেছে, ফিরেছে সম্প্রীতিও। কিন্তু বিচারকাজে দীর্ঘসূত্রিতা এবং ঘটনার আসল অপরাধীর মুখোশ উন্মোচিত না হওয়ায় হতাশ বৌদ্ধ সম্প্রদায়।
ছবির এই দৃশ্য থাইল্যান্ড, জাপান কিংবা চীন দেশের বড় কোন বৌদ্ধ মন্দিরের নয়, এটি কক্সবাজারের রামু উপজেলার নবনির্মিত সীমা বিহার। ১০০ ফিট সিংহ শয্যা বুদ্ধমুর্তিসহ জেলায় এ ধরণের মন্দির হয়েছে ২১টি। আন্তর্জাতিকমানের শৈল্পিক নির্মাণ শৈলীর এসব মন্দির এবং বুদ্ধমূর্তি দেখতে পুর্ণ্যার্থী ছাড়াও প্রতিনিয়ত ভ্রমণে আসেন দেশী-বিদেশী অসংখ্য পর্যটক।
সা¤প্রদায়িক গোষ্টি সংখ্যালঘুদের ১৯টি মন্দির এবং ৫ শতাধিক বসতি পুড়িয়ে রামুর শত বছরের ধর্মীয় স্মপ্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চালায়।
সেই রাতে আগুনের লেলিহান শিখায় মন্দির আর মূর্তি পুড়ে ছাই হওয়া এ সব স্থানে এখন শোভা পায় আন্তর্জাতিকমানের মন্দির এবং বুদ্ধমূর্তি।
স্থানীয়দের দাবী-তাদের সম্প্রীতির বন্ধন এখন আরো সুদৃঢ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ।
গেলো ৮ বছরে রামু হামলার সাথে সরাসরি জড়িতদের পরিপূর্ণ বিচার দেখতে পাননি বৌদ্ধরা। তারা বলছেন, আর কোন ২৯ সেপ্টেম্বরের পূণরাবৃত্তি যেন না হয়, সে জন্য নিরীহ কাউকে হয়রানী না করার পাশাপাশি প্রকৃত অপরাধিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় কক্সবাজার বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, রামু, উখিয়া ও টেকনাফের ১৯টি মামলার মধ্যে একটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। বাকী ১৮টি মামলা সাক্ষ গ্রহনের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তি করে প্রকৃত আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে ১৮ মামলায় ১৫ হাজার আসামীর মধ্যে ৯৪৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দিয়েছিলো পুলিশ।