জোর করে কোটি টাকার জমি, ফ্ল্যাট ও ব্যাংকের চেক লিখে নেয়ার অভিযোগ জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের বিরুদ্ধে
- আপডেট সময় : ০৬:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫১৯ বার পড়া হয়েছে
ফেনীতে জোর করে এক ব্যবসায়ীর কোটি টাকার জমি, ফ্ল্যাট ও ব্যাংকের চেক লিখে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা হলেও, সেটি তুলে নেয়ার হুমকি মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ব্যবসায়ী নজরুল। বাচাঁর আকুতি নিয়ে অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে, হয়রানি ছাড়া পাচ্ছেন না কোনো প্রতিকার। এরই মধ্যে হামলার শিকারও হয়েছেন তিনি।
জেলার ফুলগাজীর আমজাদ হাট ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাবলুর অভিযোগ, তিনি ঢাকায় একটি সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানে চার বছর কাজ করেছেন। পরে, ২০১৭ সালে নিজেই এস এ বাদল নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। এরপর, আগের প্রতিষ্ঠানের মালিক আরিফিন আজাদ বাদল তার কাছে মোটা অংকের টাকা পাবে বলে দাবি করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্রমাণ ছাড়াই চাপ দিতে থাকে। গত ১৭ জুন নজরুলের বাড়িতে হানা দিয়ে দিনের বেলায় ঘরে ঢুকে, পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে জমি, ফ্ল্যাট, ব্যাংকের চেকসহ মূল্যবান জিনিসপত্র গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। ২৩ আগষ্ট এ বিষয়ে আদালতে মামলা করেন তিনি।
১৮ জুন ভোরে অস্ত্র ও মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে, বাড়ি থেকে গাড়িতে তুলে চক্রটি, ঢাকার কেরানীগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে যায়। এসময় ছাগলনাইয়া থানার এস আই আলমগীরসহ বাদল তার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাড়ে ছয় কাঠার জমিটি লিখে নেয়।ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স হস্তান্তরের অঙ্গিকার নামাসহ ৫/৭ টি সাদা ষ্ট্যাম্পে সই দিতে চাপ দেয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে সটকে পড়েন তিনি। পরে, এস আই আলমগীর মুঠোফোনে জানান, চুক্তি ছিলো লাইসেন্সসহ জমি লিখে নেয়ার। সাদা ষ্ট্যাম্প নেয়ার ঘটনা জানতেন না তিনি। এ ব্যাপারে, ১২ সেপ্টেম্বর পুলিশের হেড কোয়ার্টার ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দেয়া হলেও, এসআইয়ের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানায়।
এদিকে, মামলা তুলে নিতে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ায়, ২৯ আগষ্ট ফুলগাজী থানায় একটি জিডি করেন ভুক্তভোগী। এ ব্যাপারে আরেফিন আজাদ চৌধুরী বাদল মুঠোফোনে জানান, আদালতে মামলা হলেও সমাধান করবেন, জনপ্রতিনিধিরা। ফেনী পুলিশ সুপার জানান, বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে তারা। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ লুন্ঠিত মালামাল ফিরে পাওয়ার আশা করছেন, ভুক্তভোগীর পরিবার।