০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে চুনোপুঁটি দালালরা গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৫২৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে চুনোপুঁটি দালালরা গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। মানবপাচারকারী দালালদের খপ্পরে পড়ে চাকরির আশায় ভিটে-মাটি বিক্রি করে অবৈধপথে পাড়ি জমিয়ে সম্প্রতি লাশ হয়ে বাড়ী ফেরেন লিবিয়া থেকে ২৬ বাংলাদেশী। আবার কেউবা পাষন্ড দালালদের নির্মম নির্যাতনে পঙ্গুত্বও বরণ করেছেন। মানবপাচার চক্রের শিকড় উৎপাটন এবং দেশী-বিদেশী দালাল চক্রকে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে সিআইডি। এসএ টিভিকে জানালেন সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিষ্টার মাহবুবুর রহমান।

দুই যুগ ধরে ভারত, দুবাই, মালয়েশিয়া, লিবিয়া, ইতালীসহ ইউরোপের দেশগুলোতে মানবপাচার করে আসছে পাচার চক্রের সদস্যরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাঠ পর্যায়ের দালালরা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের টার্গেট করে খুব সহজেই ভাগিয়ে ফেলে। দালালদের টোপে পড়ে গ্রামের সহজ-সরল যুবকরা অবৈধ পথে বিদেশ যেতে ভিটে মাটি বিক্রি করে সহায় সম্বল হারিয়ে ফেলে।

দালাল চক্রের সদস্যরা বেনাপোল হয়ে ভাতর, দুবাই এবং লিবিয়া হয়ে গ্রীস,ইতালী পৌছাতে কমপক্ষে ৫টি রুট ব্যবহার করে থাকে। সম্প্রতি লিবিয়ার মিজদাহ অঞ্জলে দালালদের ক্যাম্পে আটকে বড় অংকের টাকা দাবি করে নির্মম নির্যাতন চালায় অভিবাসীদের ওপর। দাবি করা অর্থ না পেয়ে ২৬ বাংলাদেশীকে হত্যা করে তারা। দালালদের নির্যাতনে পঙ্গুত্বও বরণ করেছে বেশ কয়েকজন।

একের পর এক শ্রমিক নিহত ও নির্যাতনের ঘটনা এবং বিদেশের মাটিতে এখনো জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে রোম হর্ষক বর্ণনা দেন ভূক্তভোগী ও স্বজনরা। আন্তর্জাতিক মানবপাচারে সম্প্রতি সারা দেশে প্রায় ২শ’র অধিক মামলা করে ভূক্তভোগীরা। আর লিবিয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। দেশী-বিদেশী বেশ কয়েকটি চক্র নারী ও পুরুষদেরকে বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি নির্যাতনের নির্মম সব কাহিনীর তথ্য উঠে এসেছে সিআইডির তদন্তে।

আন্তর্জাতিক মানবপাচার রোধে চিরুনী অভিযান চলছে বলে জানান সিআইডি চীফ ব্যারিষ্টার মাহবুবুর রহমান। বিদেশে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের যাতে করে দালাল চক্র কোন প্রকার প্রলোভনে ফেলে আকৃষ্ট করতে না পারে-সে বিষয়েও কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। এরই মধ্যে দেশী-বিদেশী দালাল চক্রকে আইনের আওতায় আনতে ইন্টরপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করেছে পুলিশ ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে চুনোপুঁটি দালালরা গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে

আপডেট সময় : ০৭:২৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০২০

বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে চুনোপুঁটি দালালরা গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। মানবপাচারকারী দালালদের খপ্পরে পড়ে চাকরির আশায় ভিটে-মাটি বিক্রি করে অবৈধপথে পাড়ি জমিয়ে সম্প্রতি লাশ হয়ে বাড়ী ফেরেন লিবিয়া থেকে ২৬ বাংলাদেশী। আবার কেউবা পাষন্ড দালালদের নির্মম নির্যাতনে পঙ্গুত্বও বরণ করেছেন। মানবপাচার চক্রের শিকড় উৎপাটন এবং দেশী-বিদেশী দালাল চক্রকে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে সিআইডি। এসএ টিভিকে জানালেন সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিষ্টার মাহবুবুর রহমান।

দুই যুগ ধরে ভারত, দুবাই, মালয়েশিয়া, লিবিয়া, ইতালীসহ ইউরোপের দেশগুলোতে মানবপাচার করে আসছে পাচার চক্রের সদস্যরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাঠ পর্যায়ের দালালরা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের টার্গেট করে খুব সহজেই ভাগিয়ে ফেলে। দালালদের টোপে পড়ে গ্রামের সহজ-সরল যুবকরা অবৈধ পথে বিদেশ যেতে ভিটে মাটি বিক্রি করে সহায় সম্বল হারিয়ে ফেলে।

দালাল চক্রের সদস্যরা বেনাপোল হয়ে ভাতর, দুবাই এবং লিবিয়া হয়ে গ্রীস,ইতালী পৌছাতে কমপক্ষে ৫টি রুট ব্যবহার করে থাকে। সম্প্রতি লিবিয়ার মিজদাহ অঞ্জলে দালালদের ক্যাম্পে আটকে বড় অংকের টাকা দাবি করে নির্মম নির্যাতন চালায় অভিবাসীদের ওপর। দাবি করা অর্থ না পেয়ে ২৬ বাংলাদেশীকে হত্যা করে তারা। দালালদের নির্যাতনে পঙ্গুত্বও বরণ করেছে বেশ কয়েকজন।

একের পর এক শ্রমিক নিহত ও নির্যাতনের ঘটনা এবং বিদেশের মাটিতে এখনো জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে রোম হর্ষক বর্ণনা দেন ভূক্তভোগী ও স্বজনরা। আন্তর্জাতিক মানবপাচারে সম্প্রতি সারা দেশে প্রায় ২শ’র অধিক মামলা করে ভূক্তভোগীরা। আর লিবিয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। দেশী-বিদেশী বেশ কয়েকটি চক্র নারী ও পুরুষদেরকে বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি নির্যাতনের নির্মম সব কাহিনীর তথ্য উঠে এসেছে সিআইডির তদন্তে।

আন্তর্জাতিক মানবপাচার রোধে চিরুনী অভিযান চলছে বলে জানান সিআইডি চীফ ব্যারিষ্টার মাহবুবুর রহমান। বিদেশে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের যাতে করে দালাল চক্র কোন প্রকার প্রলোভনে ফেলে আকৃষ্ট করতে না পারে-সে বিষয়েও কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। এরই মধ্যে দেশী-বিদেশী দালাল চক্রকে আইনের আওতায় আনতে ইন্টরপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করেছে পুলিশ ।