অতি যত্ন আর কষ্টে ফুটানো ফুল বিক্রি হচ্ছে কম দামে
- আপডেট সময় : ০২:১২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার সংগ্রামে কিছুতেই জয়ী হতে পারছেন না ফুলের সাম্রাজ্য খ্যাত যশোরের চাষীরা। অতি যত্ন আর কষ্টে ফুটানো ফুল বিক্রি হচ্ছে কম দামে। আবার কখনও দাম চড়া হলেও প্রকৃতির খেয়ালে ফুল ফুটছে না গাছে। এমনই প্রতিকূলতায় কিছুতেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না করোনার পূর্বে সফল গদখালির ফুল চাষীরা।
বছর ২ আগেও যশোরের গদখালি ফুলচাষীদের সাফল্যের গল্প ছিল দেশজুড়ে। দেশ-বিদেশের অন্তত ১২ প্রকারের ফুল চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছিলেন তারা। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে অন্যসব খাতের মতোই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ফুল সেক্টরও। ফুল বেচাকেনা বন্ধ হওয়ায় দেশের চাহিদার ৭০ ভাগ ফুল সরবরাহকারী ফুল চাষীরা পড়েন চরম লোকসানে। এরপর ঘূর্নিঝড় আম্পানে শেড নষ্ট হয়ে গেলে আরেক দফা হতাশার মধ্যে পড়েন চাষীরা। সেই থেকে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা নানা প্রতিকূলতায় ভেস্তে যাচ্ছে। বর্তমানে ফুলের দাম আশানুরূপ হলেও ফুলের উৎপাদন খুবই কম। ফলে খুব বেশি লাভবান হতে পারছেন না তারা।
তবে আশা ছাড়েননি ভাগ্যাহত ফুলচাষীরা। তারা মনে করছেন, ফুলের উৎপাদন কম হলেও এভাবে ভালো দাম থাকলে ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। আবার অনেক চাষী ঘুরে দাঁড়াতে চড়া সুধে এনজিওর দাদন নিয়ে কিস্তি পরিশোধে পড়েছেন চরম বিপাকে। বিকল্প কোন উপায় না পেয়ে লোকশান যেনেও ফুল চাষ করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।
আগামীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে ঘিরে বাজার ধরতে ফুল চাষে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। তাদের আশা সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কিছুটা লোকশান কাটিয়ে উঠবেন বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির শীর্ষ এই নেতা।
যশোরে ৬ হাজার ফুল চাষির উপর নির্ভরশীল দেড় লাখ মানুষ লোকশানের কারণে হতাশায় ভুগছেন। পাশাপাশি সারা দেশে ২০ হাজার কৃষক ও প্রায় ২৫ হাজার পাইকারি বিক্রেতা একই অবস্থায় শিকার। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন ফুল চাষের সাথে সংশ্লিষ্টরা।