অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বরগুনার আমতলীর ইউএনওকে ওএসডি
- আপডেট সময় : ০১:৫১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১
- / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের বরাদ্দ দেয়া ঘরে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বরগুনার আমতলীর ইউএনওকে ওএসডি করা হয়েছে। একইসংগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে দ্বিতীয় ধাপে বরগুনার আমতলীর গৃহহীনদের তিন’শ ৫০টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, ইউএনও মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান তার প্রতিনিধির মাধ্যমে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করেন। এছাড়া, তার কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর এনামুল হক বাদশার গ্রামে টাকার বিনিময়ে ৩০টি ঘর বরাদ্দ দেন তিনি। ঘর প্রতি আদায় করেছেন ৩০-৪০ হাজার টাকা।
অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গত ২৫ এপ্রিল থেকে গণমাধ্যমে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে, তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক। তদন্তে অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা পায় কমিটি। প্রতিবেদন দেখে ইউএনও আসাদুজ্জামানকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। একই অভিযোগে গত ৫ মে কম্পিউটার অপারেটর এনামুল হক বাদশাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২০ জুন সারাদেশে ঘর বিতরণ উদ্বোধন করেন। কিন্তু, আমতলীতে ঘরের নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। নিম্নমানের সামগ্রী দেয়ায় বেশ কিছু ঘরের দেয়াল ধসে পড়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর ধরে নাড়া-চারা করায় ভেঙে পড়েছে বলে দাবি করেন, ঠিকাদার। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা জানান, পুরো কাজটাই দেখভাল করেন ইউএনও। ইউএনওকে ওএসডি করা নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি জেলা প্রশাসক। মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান গত বছর চার সেপ্টেম্বর বরগুনার তালতলী থেকে আমতলীতে ইউএনও হিসেবে যোগ দেন। যোগদানের পরেই তার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন ওই কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর এনামুল হক বাদশা। তার মাধ্যমে ত্রাণের ঘরসহ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা।