০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

অবশেষে ঐক্যের ঘোষণা দিলেন হেফাজতে ইসলামের দুই শীর্ষ নেতা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০
  • / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অবশেষে একমঞ্চে উঠে ঐক্যের ঘোষণা দিলেন আলোচিত ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের দুই শীর্ষ নেতা আল্লামা আহমদ শফি ও জুনায়েদ বাবুনগরী। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করেই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এই ঘোষণা আসে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে।শীর্ষ নেতাদের যৌথ এই বিবৃতির পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। রাজনীতি বিশ্লেষকদের মন্তব্য হচ্ছে, মুখে অরাজনৈতিক দাবি করলেও সংগঠনটির কার্যক্রম বরাবরই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির পুত্র আনাস মাদানীর ফাঁস হওয়া এই ফোনালাপেই স্পষ্ট হয় সংগঠনটির ভাঙ্গনের সুর। থেমে থাকেননি বাবু নগরীর অনুসারীরাও। তারা সরাসরি হেফাজতেরে আমিরের বিরুদ্ধেই তোলেন অভিযোগের তীর।এর আগে ১৭ই জুন মজলিশে সুরার বৈঠকে সংগঠনটির সদর দফতর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব থেকে জুনায়েদ বাবুনগরীকে সরিয়ে দেয়ার হয়। এতে দু’গ্রুপের মধ্যে অনেকটাই দুরত্ব সৃষ্টি হলে দলের ভেতরে-বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দলের এই টানাপড়েন সময়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটে নাটকীয় পরিবর্তন। আল্লামা শফি ও জুনায়েদ বাবুনগরী একমঞ্চে উঠে ডাক দেন ঐক্যের। দু’জনের যৌথ বিবৃতি পাঠ করেন সংকটের আরেক কান্ডারী শফিপুত্র আনাস মাদানী।

আলোচিত ধর্মীয় এই সংগঠনটির নেতারা বলছেন, কয়েকদিনে ঘটনায় দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হলেও বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফের ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।এদিকে রাজনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কওমী মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট সহজ সরল মানুষগুলোকে বিভ্রান্ত করে, মুখে অরাজনীতির কথা বললেও আসলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিতেই সবসময় তৎপর রয়েছে সংগঠনটির নেতারা।

নারীনিতির বিরোধিতা করে জন্ম নেয়া হেফাজতে ইসলাম আলোচনায় আসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা গণ জাগরণ মঞ্চের প্রতিপক্ষ হয়ে। এরপর থেকে গেল ৭ বছর ধরে মাঝে মধ্যেই নানান কর্মসুচী দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেদের চাহিদা টিকিয়ে রেখেছে সংগঠনটি

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অবশেষে ঐক্যের ঘোষণা দিলেন হেফাজতে ইসলামের দুই শীর্ষ নেতা

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০

অবশেষে একমঞ্চে উঠে ঐক্যের ঘোষণা দিলেন আলোচিত ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের দুই শীর্ষ নেতা আল্লামা আহমদ শফি ও জুনায়েদ বাবুনগরী। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করেই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এই ঘোষণা আসে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে।শীর্ষ নেতাদের যৌথ এই বিবৃতির পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। রাজনীতি বিশ্লেষকদের মন্তব্য হচ্ছে, মুখে অরাজনৈতিক দাবি করলেও সংগঠনটির কার্যক্রম বরাবরই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির পুত্র আনাস মাদানীর ফাঁস হওয়া এই ফোনালাপেই স্পষ্ট হয় সংগঠনটির ভাঙ্গনের সুর। থেমে থাকেননি বাবু নগরীর অনুসারীরাও। তারা সরাসরি হেফাজতেরে আমিরের বিরুদ্ধেই তোলেন অভিযোগের তীর।এর আগে ১৭ই জুন মজলিশে সুরার বৈঠকে সংগঠনটির সদর দফতর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব থেকে জুনায়েদ বাবুনগরীকে সরিয়ে দেয়ার হয়। এতে দু’গ্রুপের মধ্যে অনেকটাই দুরত্ব সৃষ্টি হলে দলের ভেতরে-বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দলের এই টানাপড়েন সময়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটে নাটকীয় পরিবর্তন। আল্লামা শফি ও জুনায়েদ বাবুনগরী একমঞ্চে উঠে ডাক দেন ঐক্যের। দু’জনের যৌথ বিবৃতি পাঠ করেন সংকটের আরেক কান্ডারী শফিপুত্র আনাস মাদানী।

আলোচিত ধর্মীয় এই সংগঠনটির নেতারা বলছেন, কয়েকদিনে ঘটনায় দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হলেও বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফের ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।এদিকে রাজনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কওমী মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট সহজ সরল মানুষগুলোকে বিভ্রান্ত করে, মুখে অরাজনীতির কথা বললেও আসলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিতেই সবসময় তৎপর রয়েছে সংগঠনটির নেতারা।

নারীনিতির বিরোধিতা করে জন্ম নেয়া হেফাজতে ইসলাম আলোচনায় আসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা গণ জাগরণ মঞ্চের প্রতিপক্ষ হয়ে। এরপর থেকে গেল ৭ বছর ধরে মাঝে মধ্যেই নানান কর্মসুচী দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেদের চাহিদা টিকিয়ে রেখেছে সংগঠনটি