অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি
- আপডেট সময় : ০৫:৪৩:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
- / ২২২৭ বার পড়া হয়েছে
সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। অসহনীয় এই তাপমাত্রায় সব চেয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। দেশের কয়েক জেলায় বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কক্সবাজারে টানা দাবদাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলেছে।
সারাদেশের মতো বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৯ টা থেকে তা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতে রূপ নেয়। বেলা ১২ টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী আরও ২-৩ দিন কক্সবাজারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
দীর্ঘ দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে খুলনা অঞ্চলে ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এদিকে, খুলনার বিভাগের পাশের এলাকায় বৃষ্টির দেখা মেলায় তাপের তীব্রতা কমতে শুরু করেছে, এমন তথ্য দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী ৫ ও ৬ মে এ অঞ্চলে নামতে পারে স্বস্তির বৃষ্টি।
যশোরে অব্যাহত তাপদাহের মাঝে মৃদু বাতাসে সকাল থেকে গরম কিছুটা কম অনুভূত হচ্ছে। তারপরও তা সহনীয় নয়। ভোগান্তি বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা দু’দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা আড়াই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেয়েছে। এতে মানুষের মাঝে ফিরেছে খানিকটা স্বস্তি। তীব্র গরমে হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ। এর মধ্যে জেলায় উচ্চ তাপমাত্রার নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
তীব্র গরমে বেনাপোল স্থলবন্দরে বিপর্যস্ত জনজীবন। বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা গত দশ বছরেতুলনায় সবোর্চ্চ রেকর্ড। ঘরের বাইরে বের হলেই পুড়তে হচ্ছে প্রখর রোদে। তীব্র তাপদাহে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। কয়েকদিনের টানা তাপদাহে নাকাল সাধারণ মানুষ। ক্রমাগত বেড়েই চলছে গরমের তীব্রতা। ভ্যাপসা গরমে ব্যাহত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হাসপাতালে বেড়েছে গরম ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।