০৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

আগামী মাসের শুরুতেই জাহাজ ভিড়বে মাতারবাড়ি বন্দরের জেটিতে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৫৬১ বার পড়া হয়েছে

dav

এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী মাসের শুরুতেই জাহাজ ভিড়বে মাতারবাড়ি বন্দরের জেটিতে। তবে মূল স্থাপনাসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলো শেষ করে পুরোপুরিভাবে বন্দরের কার্যক্রম শুরু করতে অপেক্ষা করতে হবে আরো অন্তত ৫ বছর। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই সব কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।

একটি গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য বহু বছরের অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে এই মাতারবাড়িতে এসে। ক’বছর আগেও মহেশখালীর পরিত্যক্ত এই সমুদ্র উপকুলটি এখন শত বছরের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের আশা ভরসায় পরিণত হতে চলেছে। কারণ দেশের একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য এই উপকুলকেই বেছে নেয় সরকার।

সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের হাত থেকে ১৮ মিটারেরও বেশী গভীরতার কৃত্রিম এই চানেলটিকে রক্ষা করতে তৈরী করা হয়েছে ব্রেকওয়াটার। বন্দরের পাশে বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য নির্মিত হয়েছে জেটি। এই জেটিরই বর্ধিত অংশ ব্যবহার করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এখন অন্যান্য ভৌত অবকাঠামোর পাশাপাশি জাহাজ চলাচলের রূপরেখা ঠিক করার পালা। আগামী মাসের শুরুতে জেটিতে জাহাজ ভিড়লেও বন্দরের অপারেশন শুরু হবে আরো পরে।

শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন বলছে, চট্টগ্রাম বন্দরের চ্যানেলে গভিরতা কম থাকায় ৯ মিটারের বেশি ড্রাফটের আসে না বাংলাদেশে। মাতারবাড়ি রেডি হলে কেটে যাবে সেই সীমাবদ্ধতাও।

আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যের ভলিউমের সঙ্গে সক্ষমতা বাড়ছে চট্টগ্রাম বন্দরেরও। তাই গভির সমুদ্রুবন্দরের সুফল পেতে হলে বন্দরকেন্দ্রীক বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্টের মতো কার্যক্রমের দিকেও নজর দিতে হবে সরকারকে।

ইতিমধ্যে বন্দর তৈরীর জন্য জাপানের দুইটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যারা বন্দর নির্মানের পাশাপাশি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সড়ক নির্মাণ কাজেরও তদারকি করবে। ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়তে ১৩ হাজার কোটি টাকার যোগান দেবে জাইকা, বাকিটা জোগাড় করতে হবে সরকারকে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আগামী মাসের শুরুতেই জাহাজ ভিড়বে মাতারবাড়ি বন্দরের জেটিতে

আপডেট সময় : ০১:৫৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০

আগামী মাসের শুরুতেই জাহাজ ভিড়বে মাতারবাড়ি বন্দরের জেটিতে। তবে মূল স্থাপনাসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলো শেষ করে পুরোপুরিভাবে বন্দরের কার্যক্রম শুরু করতে অপেক্ষা করতে হবে আরো অন্তত ৫ বছর। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই সব কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।

একটি গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য বহু বছরের অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে এই মাতারবাড়িতে এসে। ক’বছর আগেও মহেশখালীর পরিত্যক্ত এই সমুদ্র উপকুলটি এখন শত বছরের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের আশা ভরসায় পরিণত হতে চলেছে। কারণ দেশের একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য এই উপকুলকেই বেছে নেয় সরকার।

সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের হাত থেকে ১৮ মিটারেরও বেশী গভীরতার কৃত্রিম এই চানেলটিকে রক্ষা করতে তৈরী করা হয়েছে ব্রেকওয়াটার। বন্দরের পাশে বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য নির্মিত হয়েছে জেটি। এই জেটিরই বর্ধিত অংশ ব্যবহার করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এখন অন্যান্য ভৌত অবকাঠামোর পাশাপাশি জাহাজ চলাচলের রূপরেখা ঠিক করার পালা। আগামী মাসের শুরুতে জেটিতে জাহাজ ভিড়লেও বন্দরের অপারেশন শুরু হবে আরো পরে।

শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন বলছে, চট্টগ্রাম বন্দরের চ্যানেলে গভিরতা কম থাকায় ৯ মিটারের বেশি ড্রাফটের আসে না বাংলাদেশে। মাতারবাড়ি রেডি হলে কেটে যাবে সেই সীমাবদ্ধতাও।

আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যের ভলিউমের সঙ্গে সক্ষমতা বাড়ছে চট্টগ্রাম বন্দরেরও। তাই গভির সমুদ্রুবন্দরের সুফল পেতে হলে বন্দরকেন্দ্রীক বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্টের মতো কার্যক্রমের দিকেও নজর দিতে হবে সরকারকে।

ইতিমধ্যে বন্দর তৈরীর জন্য জাপানের দুইটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যারা বন্দর নির্মানের পাশাপাশি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সড়ক নির্মাণ কাজেরও তদারকি করবে। ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়তে ১৩ হাজার কোটি টাকার যোগান দেবে জাইকা, বাকিটা জোগাড় করতে হবে সরকারকে।