আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে নতুন কমিশন গঠনে নভেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে পারে সার্চ কমিটি
- আপডেট সময় : ০২:১০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫১৮ বার পড়া হয়েছে
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে নতুন কমিশন গঠনে নভেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে পারে সার্চ কমিটি। আর এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ও সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার অতীত ধারাবাহিকতা রক্ষার পক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে ইসি গঠনে বিএনপির সুপারিশ নেয়া জরুরী নয় বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতারা।
২০১৭ সালে গঠন হয় বর্তমান নির্বাচন কমিশন। ওই সময় আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সব দলের সঙ্গে আলোচনা করেন রাষ্ট্রপতি। সবার প্রস্তাবনার ভিত্তিতে সার্চ কমিটির মাধ্যমে বাছাই করে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে এ কমিশনের মেয়াদ। তার আগেই প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের নাম চূড়ান্ত করতে হবে।
পরবর্তী জাতীয় সংদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে এখনো প্রায় ২ বছর সময় থাকলেও আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এরই মধ্যে নতুন কমিশন গঠনের বিষয়ে শুরু হয়েছে আলাপ-আলোচনা।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠন করা হয়েছিল বর্তমান নির্বাচন কমিশন। ভবিষ্যতেও এ স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত।
আওয়ামী লীগ বলছে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির ডাকে সাড়া দিয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে রাজি তারা। কিন্তু শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থার বিপরীত অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সেই হিসেবে দলনিরপেক্ষ, নীতি-নিষ্ঠ ও সর্বজন স্বীকৃত ব্যক্তিদের নিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠনের সুপারিশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।