আগামীকাল থেকে শর্তসাপেক্ষে দেশের সব মসজিদ খুলে দেয়া হচ্ছে
- আপডেট সময় : ০৮:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০
- / ১৬২১ বার পড়া হয়েছে
আগামীকাল থেকে শর্তসাপেক্ষে দেশের সব মসজিদ খুলে দেয়া হচ্ছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে, ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ তারাবীহ নামাজ আদায় করা যাবে। তবে জামায়াতের ক্ষেত্রে দুইজন মুসল্লির মধ্যে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখাসহ জুড়ে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু বিধিনিষেধ। এর ব্যত্যয় ঘটলে, দ্বায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হেবে।
করোনার কারনে ৬ এপ্রিলের ঘোষণায় ঘরে বসে সব নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে মসজিদে জামাত চালু রাখতে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে অনধিক পাঁচজন ও জুমার নামাজে অনধিক ১০ জন শরিক হবার নির্দেশনা দেয় । নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তারাবীহ নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রেও। কিন্তু অনেক মসজিদেই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র- জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের বাইরের রাস্তায় অনেক মানুষকে নামাজ আদায় করতে দেখা যায়।
আলেম সমাজের জোরালো অনুরোধে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপিততে, এবার নামাজের জন্য মসজিদ উন্মুক্ত করে দেয়া হলো। যা কার্যকর হবে বৃহষ্পতিবার জোহর থেকে। দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামার সঙ্গে পরামর্শ করে ১২ দফা শর্তসাপেক্ষে মসজিদগুলো সুস্থ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জামাতে নামাজের অনুমতিতে বলা হয়–
১. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুণাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে যাবেন ।
২. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
৩. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসায় ওজুর পর সুন্নত নামাজ আদায় করে মসজিদে আসতে হবে।
৪. জামাতে কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ তিন ফুট পর পর মুসল্লিদের দাঁড়াতে হবে।
৫. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।
৬. সংক্রমণ রোধ মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৮. মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।
৯. শর্ত সাপেক্ষে প্রত্যেক মসজিদে সর্বোচ্চ পাঁচজন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ইতেকাফ এর জন্য অবস্থান করতে পারবেন।
১০. করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা যাচ্ছে।
১১. এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার হবে।
১২. খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
এসব নির্দেশনা লংঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃখলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলেও সতর্ক করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।