রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রথম ইউরেনিয়াম হস্তান্তর কাল
- আপডেট সময় : ০১:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৭৪৯ বার পড়া হয়েছে
আগামীকাল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রথম ইউনিটের ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করবে রুশ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি। এর মাধ্যমে বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই রূপপুর কেন্দ্র থেকে মিলবে পরমাণু বিদ্যুৎ। কেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে বদলে গেছে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর রূপপুরের চেহারা।
পাবনার রূপপুরে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে দেশের একমাত্র পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র। সেখানে কাজ করছেন রাশিয়া, ইউক্রেনের সাড়ে ৫ হাজার নাগরিক। অন্যদিকে এই প্রকল্পে কর্মরত দেশের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাশিয়া থেকে দেশে পৌঁছেছে ইউরেনিয়াম, যা বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল জ্বালানি। কড়া নিরাপত্তায় সেই ফুয়েল এখন রূপপুরের স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিতে। রাশিয়ার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইউরেনিয়াম বুঝে নেবে রূপপুর প্রকল্প।
রাশিয়া থেকে আনা ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামসহ পরমাণু চুল্লির পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে এপ্রিল পর্যন্ত। তারপরই প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে দেয়া শুরু হবে বিদ্যুৎ।
বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হবে অতি আকাংক্ষিত প্রকল্প পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি পুতিন প্রথম ইউনিটের ইউরিনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
এদিকে, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কর্মযজ্ঞ শুরুর পর থেকে বদলে গেছে এলাকার চিত্র। রাশিয়ানদের আনাগোনায় রূপপুর প্রকল্পের চারপাশে গড়ে উঠেছে সু-উচ্চ ভবন। এক সময়ের ঝোপঝাড়, খাল এলাকায় এখন বড় বড় চোখে পড়ে আধুনিক শপিংমল আর রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট।
প্রকল্প নির্মাণে বিদেশিদের আনাগোনায় নানা পণ্য বেচাকেনায় কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারো মানুষের। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ এলাকায় ভিড় করেছেন অনেক ব্যবসায়ী।
আর স্থানীয়রা বলছেন, বদলে যাওয়া রূপপুরের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে পাবনাবাসীর জীবন।
২০১৭ তে কাজ শুরুর পর দেশের প্রথম পারমাণবিক এই প্রকল্পটি এখন বাংলাদেশের আত্মমর্যাদা আর সক্ষমতার প্রতীক যেন।