আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী
- আপডেট সময় : ০৪:০৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২
- / ১৫৮০ বার পড়া হয়েছে
আজ ২৫ বৈশাখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী এই পুরুষ। বিশ্বসাহিত্যের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ প্রতিভায় রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় রেখেছেন অসামান্য অবদান। বিশ্ব দরবারে বাংলা পায় এক অনন্য মর্যাদা।
রবীন্দ্রনাথের জন্মের দেড়শ বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও বাঙালির প্রতিদিনের সংস্কৃতিচর্চায় তিনি এখনও প্রাসঙ্গিক।
দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম পরিমাণে বিপুল ও বৈচিত্র্যময়। কী লেখেননি রবীন্দ্রনাথ! শিল্প সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই, যেখানে নেই তাঁর বিচরণ। রূপকথার পরশ পাথরের মতো সব খানেই তার কৃত্তি। মাত্র আট বছর বয়সে প্রথম কবিতা লেখেন। ১৮৮৭ সালে ১৬ বছর বয়সে “ভানুসিংহ” ছদ্মনামে তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। সেই বছরই রচনা করেন প্রথম ছোটোগল্প ও প্রথম নাটক।
রবীন্দ্রনাথ ৫৬ টি কাব্যগ্রন্থ, ১৩ টি উপন্যাস, ১১৯ টি ছোট গল্প,২ হাজারের অধিক গান রচনা ছাড়াও সাহিত্যের সকল শাখায় রেখেছেন অবিস্মরনীয় অবদান।
তাই রবীন্দ্রনাথ শুধু কবিই নন,একাধারে সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।তবে, মূলত কবি হিসেবেই তাঁর প্রতিভা বিশ্বময় স্বীকৃত। ১৯১৩ সালে তাঁকে গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য পান নোবেল পুরস্কার।
তাঁর সাহিত্যচর্চার ব্যপক পরিবর্তন হয় “সবুজপত্র” এর মাধ্যমে। এ পত্রিকায় তিনি সাহিত্যরীতির পরিবর্তন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার নিদর্শন তুলে ধরেন। ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে দেন “নাইট” উপাধি।
বিশ্বকবি সাহিত্যের সাগরের অথৈ জলে খেলেছেন জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত। লিখেছেন, সৃষ্টি করেছেন সাহিত্যের পৃথিবী। ১৯৪১ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপারের যাত্রায় বাংলা সাহিত্যের সূর্য যায় অস্তাচলে।