আজ শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
- আপডেট সময় : ১২:০৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১
- / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
আজ ১৭ মে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দীর্ঘ প্রবাস জীবনশেষে দেশে ফেরার দিন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর স্বামী-সন্তানসহ ৬ বছর বিভিন্ন দেশে পলাতক জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরতে সক্ষম হন তার বড় কন্যা শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের ইতিহাস বিনির্মাণের সূচনাক্ষণ এদিন।
১৭ মে, ১৯৮১। দিনটি ছিলো রোববার, আবহাওয়া ছিলো বৈরী। ঝড়-বৃষ্টি, দুর্যোগ উপেক্ষা করে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দর থেকে শেরে-বাংলা-নগর পর্যন্ত রাস্তায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিতে। দিল্লী থেকে কলকাতা হয়ে বিকেল সাড়ে চারটায় ঢাকার মাটি স্পর্শ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সমবেত জনতা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে স্বাগত জানিয়ে শেখ হাসিনাকে অভয় দেয় ” ঝড় বৃষ্টির আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে”।
১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারী আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্যকন্যাকেই দলের কান্ডারী হিসেবে নির্বাচিত করে দল। মূলত ঐদিনই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, পঁচাত্তর পরবর্তী দিশেহারা আওয়ামী লীগ। অবৈধ স্বৈরাচারী শাসন ভেঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আবারো দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে আওয়ামী লীগের নির্যাতিত প্রতিটি কর্মী।
এরপর টানা ৯ বার অর্থ্যাৎ ৪০ বছর ধরে দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন শেখ হাসিনা। শক্তহাতে নেতৃত্ব দিয়ে উন্নয়নের কাতারে সামিল করেছেন দেশকেও।
তবে তাঁর এই পথচলা কখনোই মসৃণ ছিল না। অন্তত ২১ বার বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। বিএনপি জামায়াত জোটের আমলে চালানো হয়েছে নৃশংস গ্রেনেড হামলা। ওয়ান ইলেভেনের সময় অনেকে পথভ্রষ্ট হলেও শেখ হাসিনা ছিলেন গনতন্ত্রের প্রশ্নে আপোষহীন। ৪ বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর টানা ১২ বছরের দেশ পরিচালনায় বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। পেয়েছেন বিশ্বনেতার সম্মান ও অজস্য স্বীকৃতি।