আন্তর্জাতিক বাজারে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশের চা
- আপডেট সময় : ০২:১৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২০
- / ১৫৭৪ বার পড়া হয়েছে
অনুকূল আবহাওয়া থাকায়, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ছাড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েও প্রতিযোগিতায় আন্তর্জাতিক বাজারে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশের চা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চা উৎপাদনে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়ালেও বিদেশী চায়ের কাছে আন্তর্জাতিক নিলাম বাজারে টিকতে পারছে না বাংলাদেশের চা। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চা উৎপাদনে বিভিন্ন ত্রুটির কারণেই গুণগত মানে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ।
অনুকুল আবহাওয়ায় চা উৎপাদনে অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে বাংলাদেশের চা। ২০১৯ সালে গড়েছে বিশ্ব রেকর্ড। দেশের ১৫২টি বাগানে লক্ষ্যমাত্রা ৯৫ মিলিয়ন কেজির বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১১০ মিলিয়ন কেজি। বাড়তি উৎপাদনে খুশী চা বাগান সংশ্লিষ্টরা।
মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত চা গাছের জন্য সুফল বয়ে আনে। সংশ্লিষ্টরা একে ‘গোল্ডেন রেইন’ বলে। দেশের বাগানগুলোতে প্রতি বছর গড়ে ৭০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। ২০১৮ সালে তা বেড়ে ৮৫ মিলিয়ন কেজি হলেও ২০১৯ সালে গোল্ডেন রেইনের কারণে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ১১০ মিলিয়ন কেজি। আর দেশে চায়ের চাহিদা রয়েছে ১শ মিলিয়ন কেজি।
উৎপাদনের দিক থেকে শ্রেষ্টত্ব অর্জন করলেও, গুণগত মান ভাল না থাকায় আন্তর্জাতিক নিলাম বাজারে দরপতন হয়েছে বাংলাদেশের চায়ের।উৎপাদিত চা দেশের চাহিদা মিটিয়ে রফতানী করার মতো হলেও বিদেশী নিলাম বাজারে টিকতে পারছে না বাংলাদেশের চা-এমনটাই জানান বাগান মালিকরা। উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি চায়ের মান বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়েছেন বিশিস্টজনেরা।