১০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

আষাঢ়-শ্রাবণেও নেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি আমন ধান চাষে বিরূপ প্রভাবে লোকসানের শঙ্কায় কৃষক

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:০৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২
  • / ১৬২৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খুলনা বিভাগে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসেও বৃষ্টি না হওয়ায় রোপা আমন চাষাবাদে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। অব্যাহত খরায় আবাদ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে অনাবাদী পড়ে আছে অনেক জমি। লোকসানের শঙ্কায় কৃষক। পরিস্থিতি উত্তরণে আমন চারা রোপণে সম্পূরক সেচে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ। এতে আবার বাড়ছে খরচ।

আষাঢ় থেকে শুরু করে শ্রাবন মাস পর্যন্ত আমন ধান জমিতে রোপণ করা হয়। কিন্তু এবার আষাঢ় মাস শেষে শ্রাবণ চলছে তারপরও দেখা নেই বৃষ্টির। আকাশে উড়ছে শরতের মেঘ; বিরাজ করছে চৈত্রের গরম।আবহাওয়া অধিদপ্তরও বৃষ্টির সুখবর দিতে পারছেনা।

চাহিদা মতো বৃষ্টি না থাকায় আমন ধান চাষ নিয়ে কৃষকের মাঝে সংশয় দেখা দিয়েছে।বৃষ্টির আশায় না থেকে বাধ্য হয়ে সেচের ব্যবস্থা করে ধান রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।

সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় অনেকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেকের চারা তৈরি থাকলেও, পানির অভাবে জমিতে লাগাতে পারছে না। কেউ কেউ স্যালো মেশিনের মাধ্যমে খাল থেকে সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপণ করছেন। এখনো অনেকে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।

শুধু বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা ও ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। কিন্তু এবার তা ব্যাহত হচ্ছে। সম্পূরক সেচ পদ্ধতি ও সুইস গেটগুলো খুলে দিয়ে পানি প্রবেশ করিয়ে চাষাবাদের উপর গুরুত্ব দেয়ার কথা বলছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, গত বছর ৩ থেকে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছিল। কিন্তু এবার খরার কারণে মাঠের জমি চৌচির হয়ে মাটি ফেটে গেছে এবং যারা বীজতলা তৈরি করেছিল তার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমী বায়ুর ও নিম্নচাপ প্রভাব সক্রিয় না হওয়ার কারণে বৃষ্টি হয়নি। তবে শিগগির বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

খুলনায় এবার ৯৩ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ আর ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

 

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আষাঢ়-শ্রাবণেও নেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি আমন ধান চাষে বিরূপ প্রভাবে লোকসানের শঙ্কায় কৃষক

আপডেট সময় : ১২:০৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২

খুলনা বিভাগে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসেও বৃষ্টি না হওয়ায় রোপা আমন চাষাবাদে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। অব্যাহত খরায় আবাদ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে অনাবাদী পড়ে আছে অনেক জমি। লোকসানের শঙ্কায় কৃষক। পরিস্থিতি উত্তরণে আমন চারা রোপণে সম্পূরক সেচে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ। এতে আবার বাড়ছে খরচ।

আষাঢ় থেকে শুরু করে শ্রাবন মাস পর্যন্ত আমন ধান জমিতে রোপণ করা হয়। কিন্তু এবার আষাঢ় মাস শেষে শ্রাবণ চলছে তারপরও দেখা নেই বৃষ্টির। আকাশে উড়ছে শরতের মেঘ; বিরাজ করছে চৈত্রের গরম।আবহাওয়া অধিদপ্তরও বৃষ্টির সুখবর দিতে পারছেনা।

চাহিদা মতো বৃষ্টি না থাকায় আমন ধান চাষ নিয়ে কৃষকের মাঝে সংশয় দেখা দিয়েছে।বৃষ্টির আশায় না থেকে বাধ্য হয়ে সেচের ব্যবস্থা করে ধান রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।

সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় অনেকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেকের চারা তৈরি থাকলেও, পানির অভাবে জমিতে লাগাতে পারছে না। কেউ কেউ স্যালো মেশিনের মাধ্যমে খাল থেকে সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপণ করছেন। এখনো অনেকে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।

শুধু বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা ও ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। কিন্তু এবার তা ব্যাহত হচ্ছে। সম্পূরক সেচ পদ্ধতি ও সুইস গেটগুলো খুলে দিয়ে পানি প্রবেশ করিয়ে চাষাবাদের উপর গুরুত্ব দেয়ার কথা বলছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, গত বছর ৩ থেকে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছিল। কিন্তু এবার খরার কারণে মাঠের জমি চৌচির হয়ে মাটি ফেটে গেছে এবং যারা বীজতলা তৈরি করেছিল তার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমী বায়ুর ও নিম্নচাপ প্রভাব সক্রিয় না হওয়ার কারণে বৃষ্টি হয়নি। তবে শিগগির বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

খুলনায় এবার ৯৩ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ আর ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।