ই-কমার্স কেলেঙ্কারির মাধ্যমে দেশ থেকে কতো টাকা পাচার হয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
- আপডেট সময় : ০৭:২২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
- / ১৫৪৯ বার পড়া হয়েছে
ই-কমার্স কেলেঙ্কারির মাধ্যমে দেশ থেকে কতো টাকা পাচার হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। গুরুতর এই অপরাধের নেপথ্য কারিগরদের চিহ্নিত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকেও নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। বিচারপতি মোহাম্মদ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ফেরতে রুলও জারি করেছে হাইকোর্ট। পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, ঠিক সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিলে সাধারণ মানুষের ক্ষতি কম হতো।
২০১৮ সালের শেষ দিকে ইভ্যালির যাত্রাটা শুরু হয় অনেকটা হ্যামিলনের বংশীবাদকের মত। চমকপ্রদ ক্যাশব্যাক ও মোটা অঙ্কের ছাড় দিয়ে ক্রেতার মনযোগ আকর্ষণ করে অনলাইন ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান। এরপর, তাদের দেখানো পথে হাটে অনেকেই। চটকদার সব নাম ও বাহারি বিজ্ঞাপন দিয়ে হইচই ফেলে তারা। পণ্য না দিয়ে হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ উঠে নামসর্বস্ব ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
ওই আর্থিক কেলেঙ্কারির পর, বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিষ্ক্রিয়তা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ফেরতের নির্দেশনা চেয়ে পৃথক তিনটি রিট হয় হাইকোর্টে। শুনানির পর রুল জারি করে আদালত।
তবে, সঠিক সময়ে বানিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে দাবি করেন বিবাদীপক্ষের আইনজীবী।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম মনিটরিংয়ে একটি উপযুক্ত সংস্থা কেন গঠন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট।