ইউক্রেন-রাশিয়া বৈঠকে আসেনি সমাধান
- আপডেট সময় : ০৪:২৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২
- / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট নিয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠকের পরেও, আসেনি কোন সমাধান। বরং, বেলারুশকে সাথে নিয়ে, ৪০ মাইল লম্বা সেনাবহর নিয়ে রাজধানী কিয়েভের দিকে ধেয়ে আসছে রুশ বাহিনী। চতুর্দিক থেকে রাশিয়ার উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার পরেও তোয়াক্কা করছেন না পুতিন। নিচ্ছেন একের পর এক বিধ্বংসী পদক্ষেপ।
চলমান সংকট নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। তবে, দুটি দেশই নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা ভিত্তিতে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠকে বসবেন। এরই মধ্যে রাজধানী কিয়েভ রক্ষায় অস্ত্র হাতে প্রতিরোধযোদ্ধারা। কিয়েভ ছাড়াও ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভ এবং উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভে ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা ও রকেট হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
যুদ্ধ বন্ধে দুই পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ইউক্রেন নিয়ে গতকাল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে এ কথা জানান তিনি।
এদিকে, ৪০ মাইল লম্বা সেনাবহর নিয়ে রাজধানী কিয়েভের দিকে ধেয়ে আসছে রুশ বাহিনী। মার্কিন স্যাটেলাইট-ইমেজিং সংস্থা, ম্যাক্সার টেকনোলজিসের দেয়া ছবিতে এমন তথ্য উঠে আসে। ছবি গুলোতে দক্ষিণ বেলারুশের স্থল বাহিনী এবং গ্রাউন্ড অ্যাটাক হেলিকপ্টার ইউনিটের মোতায়েনও দেখায়।
কিয়েভের ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান নিয়েছে রাশিয়ার সেনাবহর। তাদের প্রতিরোধে ইউক্রেন সেনাদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরাও অস্ত্র হাতে শহর পাহারা দিচ্ছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, রাশিয়ার তেল আমদানি নিষিদ্ধ সহ, ইউক্রেনকে অস্ত্র ও উন্নত গোলাবারুদ সরবরাহ করবে তার দেশ। যত দ্রুত সম্ভব, ১০০ টি কার্ল গুস্তাফ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র এবং ২০০০ রকেট পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অনিতা আনন্দ৷
রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনের অন্যান্য শহর গুলোতেও দুর্বিষহ সময় কাটছে সাধারণ মানুষের। গতকাল সকালে কিয়েভে কারফিউ তুলে নেওয়া হলে শহরের পাতালরেলের সুরক্ষাকেন্দ্রসহ ভবনগুলোর মাটির নিচের বেসমেন্ট থেকে বেরিয়ে প্রয়োজনীয় কেনাকাটাসহ অন্যান্য কাজ সারেন বাসিন্দারা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর করিম খান এক বিবৃতিতে বলেন, ইউক্রেনে হামলা চালানোয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তদন্ত শুরু হচ্ছে। অনুমোদন পেলেই প্রক্রিয়াটি নিয়ে এগিয়ে যাবেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে রাশিয়ান রুবলের মান রেকর্ড ৩০ শতাংশ কমেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সুদহার বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক।