ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বিরুপ প্রভাব পোশাক শিল্পে
- আপডেট সময় : ০২:০৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বিরুপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের তৈরী পোষাক শিল্পে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের বায়ার তাদের অর্ডার স্থগিত করেছে। অন্যরাও অর্ডার কোয়ান্টিটি কমিয়ে দিতে শুরু করেছে। আগামী বছরের স্যাম্পল ডেভেলপের কাজেও নেমেছে ধীরগতি। সবমিলিয়ে আবারো অর্ডার বিপর্যয়ের আশংকায় এই খাতের উদ্যোক্তারা। আর বিজিএমইএ বলছে, যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে, করোনার চেয়েও ভয়াবহ সংকটে পড়বে প্রধান এই রপ্তানীমুখী শিল্পটি।
করোনার কারণে ২০২০ সালের প্রথমেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের তৈরী পোষাক শিল্প। সহজ শর্তে ঋণ ছাড়া নানানভাবে পলিসিগত সহায়তা দিয়ে, এই খাতকে টিকিয়ে রাখে সরকার। দেড় বছরের মাথায় ফের ঘুরে দাড়াতে শুরু করে গার্মেন্টস শিল্প।
করোনার ভয়াবহতা কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে অর্ডারের ফ্লো। বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানায় ফিরে আসা প্রাণচাঞ্চল্য । কিন্তু ক’দিনের মাথায় ফের হুমকির মুখে পড়তে চলেছে গার্মেন্ট খাতের ভবিষ্যত।
বাংলাদেশে উৎপাদিত তৈরী পোষাকের ৩ শতাংশের ক্রেতা পোল্যাণ্ডের বিভিন্ন কোম্পানী। এছাড়া শীর্ষ বায়ারদের মধ্যে ইএন্ডএইচ গ্রুপ; যাদের প্রধান ক্রেতা রাশিয়া। যুদ্ধের ডামাডোলে অন্তত ৫ শতাংশ অর্ডার স্থগিত করেছে এসব রায়াররা। এছাড়া ইউরোপ, জার্মানী ও যুক্তরাজ্যে বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতি। এতে আরো অন্তত ৩৭ শতাংশ বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা করছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত বাংলাদেশী কারখানাগুলোর তথ্য সংগ্রহে কাজ শুরু করেছে বিজিএমইএ। এছাড়া পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া কারখানাগুলোকে টিকিয়ে রাখতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবণা তৈরীর কথাও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আগামী মৌসুমের পোষাকের ডিজাইন তৈরীর কাজ শুরু হয় এই মৌসুমের শুরুতেই। কিন্তু যুদ্ধের কারণে সেখানেও নেমেছে স্থবিরতা। তাই চলতি মৌসুম যেমন তেমন গেলেও, আসছে মৌসুমে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির আশংকায় রয়েছেন গার্মেন্ট সংশ্লিষ্টর।