ইউক্রেনের যেদিকে চোখ যায় শুধু ধ্বংসলীলা
- আপডেট সময় : ১০:০৪:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
ইউক্রেনের যেদিকে চোখ যায় শুধু ধ্বংসলীলা। গোলার আঘাতের চিহ্ন প্রতিটি স্থাপনায়। এখনো দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহরে। এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পরিকল্পনা মতোই কাজ করে চলেছে তার বাহিনী। উদ্দেশ্য সফল না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণ চলমান রাখবে রাশিয়া।
রাজধানী কিয়েভে যাওয়ার পথে ধ্বংসযজ্ঞে মেতেছে রুশ সেনারা। কিয়েভের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মুখে বিভিন্ন শহর ধ্বংস করে চলেছে তারা। কিয়েভ থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর- বরোদইয়াঙ্কার বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এছাড়া সামরিক বহর এগিয়ে যাওয়ার সময় ধ্বংস করেছে অনেক বেসামরিক স্থাপনা। বিমান হামলা থেকে বাঁচতে ‘নো ফ্লাই জোনের’ আবেদন জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে, কিয়েভ বিমানবন্দর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের শহর- হাতেনেও চলছে চরম ধ্বংসযজ্ঞ। বৃহস্পতিবার ২য় দফার বৈঠক চলাকালে রাজধানী কিয়েভের পাশের শহর- বুচাতেও হামলা চালানো হয়। ধ্বংস করা হয় গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু।
ইউক্রেনের অবরুদ্ধ পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর নগর- মারিউপলে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে রাশিয়ান বাহিনী। শহরটির মেয়র জানান, বিদ্যুৎ, খাদ্য, পানি সরবরাহসহ পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে রুশ বাহিনী।
এদিকে ইউক্রেন জানিয়েছে, যুদ্ধে এ পর্যন্ত তাদের দুই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া রাশিয়ার সাড়ে ৫ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের উপকূলে এস্তোনিয়ার মালিকানাধীন একটি কার্গো জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে রুশ বাহিনী। বিস্ফোরণের পর জাহাজটি ডুবে যায়।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে এ প্রস্তাব দেন তিনি। এ সময় তিনি তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ওপেক ও রাশিয়াসহ তেল উৎপাদনকারী গোষ্ঠীর প্রতি তার সমর্থনও পুনর্ব্যক্ত করেন।