ইনজুরিতে মেসি, ফাইনালে খেলবেন তো?
- আপডেট সময় : ০১:২৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
- / ১৬৪৬ বার পড়া হয়েছে
সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে পায়ের পুরোনো চোট বেড়েছে মেসির। তবুও পুরো ম্যাচ খেলানো হয়েছে তাকে। তাই এমন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে, মহাগুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল কি মিস করতে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার?
ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে চার বছর আগে বিশ্বকাপে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচে মেসি পুরো ৯০ মিনিটে খেলেছেন। নিজে গোল করেছেন, করিয়েছেন অন্যদের দিয়েও। শিরোপা উচিয়ে ধরতে আর একটা মাত্র জয় দূরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
ক্রোয়েশিয়ার ও আরজেনটিনা ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে বেশ কবার পায়ে হাত দিতে দেখা গেছে মেসিকে। তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, পায়ে চোট পেয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। ভক্তদের মনে শঙ্কা দানা বাঁধতে থাকে; ফাইনাল মিস করতে যাচ্ছেন কি আকাশি-সাদা দলের নিউক্লিয়াস?
বিশ্ব গণমাধ্যমে মেসির চোটের সংবাদ আলোচনায়। কৌশলগত কারণেই বিষয়টি অনেকটা চেপে গেছে আর্জেন্টাইন টিম ম্যানেজমেন্ট। ম্যাচ জয় নিশ্চিত জেনে আলভারেজ, মলিনাদের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠ থেকে তুলে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। কিন্ত পায়ে ব্যথা নিয়েও খেলে গেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। বড় ইনজুরির ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তাকে উঠিয়ে নেননি কোচ। শুধু এ ম্যাচ নয়, পুরো বিশ্বকাপেই প্রতিটি ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন আর্জেন্টাইন বরপুত্র।
মেসির ইনজুরি কতটা গুরুতর? সত্যিই কি তা ফাইনালে খেলার মত না – এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মেসির সতীর্থ গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
তিনি জানান, বিশ্বকাপ শুরুর আগেই মেসির পুরনো চোট ছিল। এমনকি পিএসজিতে বেশকিছু ম্যাচ মিস করেছেন তিনি। তবে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নাকি বেশি গুরুতর নয়। ভক্তদের আশ্বস্ত করলেন, সুপার সানডেতে লুসাইলে বিশ্বকাপ ফাইনালে নাকি স্বরূপে দেখা যাবে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে।
অ্যাস্টন ভিলায় খেলা মার্টিনেজ বলেন, ‘আমরা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১২০ মিনিট খেলেছি, এটা তার (মেসি) জন্য কঠিন খেলা ছিল। কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে, তিনি প্রতিটি খেলা শেষ করে আসতে চেয়েছেন। শারীরিকভাবে তিনি সত্যিই ভালো আছেন এবং প্রতিটি খেলায় ম্যাচসেরাও হয়েছেন।’
মেসির মাঠে থাকা মানেই প্রতিপক্ষের ভয়। সতীর্থদের জন্য অনুপ্রেরণা। মেসি মাঠে থাকলে তাকে সামলাতেই আলাদা পরিকল্পনা করতে হয় প্রতিপক্ষের কোচকে। মার্কিংয়ে রাখে ২-৩ জন ফুটবলার। ইতিহাস গড়ার ম্যাচে মেসির যে থাকা চাই-ই চাই। ২০১৪-এর সেই ছবিটার আক্ষেপ কি এবার ঘোচাতে পারবেন আর্জেন্টাইন বরপুত্র?