ইরানে স্কুল বন্ধ করতে ছাত্রীদের বিষ
- আপডেট সময় : ০১:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৬৮৩ বার পড়া হয়েছে
ইরানের ডেপুটি শিক্ষামন্ত্রী একথা জানিয়েছেন। একাধিক ছাত্রীর শরীরে বিষ মিলেছে।
তেহরান থেকে সামান্য দূরে ইরানের কম শহরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। কমের পার্শ্ববর্তী একটি শহরের স্কুলেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রোববার দেশের ডেপুটি শিক্ষামন্ত্রী স্বয়ং একথা জানিয়েছেন।
মন্ত্রী ইউনেস পানাহি জানিয়েছেন, এক শ্রেণির মানুষ মেয়েদের স্কুল বন্ধ করতে চান। সে কারণেই তারা মেয়েদের স্কুলে বিষ ছড়ানোর ব্যবস্থা করেছিল। এক ধরনের গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। মেয়েদের ফুসফুসে বিষের চিহ্ন মিলেছে।
তবে স্বস্তির কথা হলো, যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা ভয়াবহ নয়। যে মেয়েদের দেহে ওই রাসয়নিক মিলেছে, তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তাদের সকলের অবস্থাই এখন স্থিতিশীল।
স্থানীয় গভর্নর, পার্লামেন্টে হেলথ কমিটির এক সদস্যও ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। বস্তুত, গত ডিসেম্বর থেকে একাজ শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে বহু ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। কমের পার্শ্ববর্তী শহরে গত এক সপ্তাহে ৫০ জন ছাত্রীকে হাসপাতালে পাঠাতে হয়। কমেও বহু ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
ঘটনার কথা স্বীকার করলেও কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। তবে মেয়েদের স্কুল বন্ধ করতেই যে এই চক্রান্ত হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন দেশের মন্ত্রী।
গত কয়েকমাস ধরে তুমুল আন্দোলন চলছে ইরানে। জেলে এক নারীর মৃত্যুর পর থেকে আন্দোলন তীব্র হয়। হিজাব খুলে রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন নারীরা। আন্দোলনকারীদের উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ। তা সত্ত্বেও আন্দোলন দমন করা যায়নি। বহু নারীকে জেলে ভরা হয়েছে। গোটা বিশ্ব ইরানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। তারই মধ্যে এই ঘটনা আন্দোলনকে আরো জোরদার করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ডয়চে ভেলে