০৭:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উত্তরাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৩০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৬০৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উত্তরাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রাত থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন দুই পাড়ের সহস্রাধিক মানুষ। তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে এলাকায় মাইকিং করা হয়। ছুটি বাতিল করা হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের।

ভারতের উত্তর সিকিম এ তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মঙ্গলবার রাত থেকে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তার পানি। উজানের পানি নেমে আসায় উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

তিস্তার পানি বৃদ্ধির জেরে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না বলেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে বুধবার থেকে বাড়তে শুরু করেছে কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি। বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে ওই নদীর পানি। বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। শুধু চরাঞ্চলের কিছু পরিবার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চলগুলোর ঘর-বাড়ি ও ফসলী জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে।

তিস্তা নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রংপুরে তিস্তা পাড়ের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচ ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে।

ভাটার কারণে নীলফামারিতে কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি। গতকাল ডালিয়া পয়েন্টে রাত আটটায় ২৫ সেন্টিমিটার উপরে উঠে তিস্তার পানি। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিস্তা পাড়ের মানুষ। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিম্নাঞ্চলের মানুষকে মাইকিং করে নিরাপদে সরিয়ে সরিয়ে নেয়া হয়।

পটুয়াখালীতে গত দুইদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার কলাপাড়া উপজেলায় ১৭৩ মিলিমিটার রেকর্ড করেছে আবহওয়া অফিস। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উত্তরাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা

আপডেট সময় : ০১:৩০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উত্তরাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রাত থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন দুই পাড়ের সহস্রাধিক মানুষ। তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে এলাকায় মাইকিং করা হয়। ছুটি বাতিল করা হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের।

ভারতের উত্তর সিকিম এ তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মঙ্গলবার রাত থেকে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তার পানি। উজানের পানি নেমে আসায় উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

তিস্তার পানি বৃদ্ধির জেরে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না বলেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে বুধবার থেকে বাড়তে শুরু করেছে কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি। বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে ওই নদীর পানি। বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। শুধু চরাঞ্চলের কিছু পরিবার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চলগুলোর ঘর-বাড়ি ও ফসলী জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে।

তিস্তা নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রংপুরে তিস্তা পাড়ের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচ ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে।

ভাটার কারণে নীলফামারিতে কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি। গতকাল ডালিয়া পয়েন্টে রাত আটটায় ২৫ সেন্টিমিটার উপরে উঠে তিস্তার পানি। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিস্তা পাড়ের মানুষ। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিম্নাঞ্চলের মানুষকে মাইকিং করে নিরাপদে সরিয়ে সরিয়ে নেয়া হয়।

পটুয়াখালীতে গত দুইদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার কলাপাড়া উপজেলায় ১৭৩ মিলিমিটার রেকর্ড করেছে আবহওয়া অফিস। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশয়ে থাকতে বলা হয়েছে।